নিষেধাজ্ঞায় থামেনি, রাশিয়াকে রুখতে এবার কী করবে পশ্চিমা বিশ্ব?

|

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থামানো যায়নি নিষেধাজ্ঞা দিয়েও। আর তাই বিকল্প পথ খুঁজছে পশ্চিমারা। সমস্যা সমাধানে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে কূটনৈতিক তৎপরতা। মধ্যস্ততায় আগ্রহ দেখিয়েছে তুরস্ক-ইসরায়েলের মতো দেশগুলো। কোন দেশের হস্তক্ষেপে থামতে পারে এ যুদ্ধ- তা নিয়ে হচ্ছে আলোচনা, উঠে আসছে বেশকয়েকটি দেশের নাম।

আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশ রাশিয়া অর্থনীতিতেও প্রথম সারির। তাদের রয়েছে তেল ও গ্যাসসহ বিপুল পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ না নিলেও শুরু থেকেই বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাশিয়াকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে পশ্চিমা দেশগুলো। নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ দাবি করা রাশিয়ার ওপর এসব নিষেধাজ্ঞা কতটা প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তাই এরই মধ্যে কূটনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজা শুরু হয়েছে।

কূটনৈতিক সমাধানে যেসব দেশ ভূমিকা রাখতে পারে তাদের মধ্যে ফ্রান্স অন্যতম। ইতোমধ্যে দুই দফায় ফোনালাপে রুশ প্রেসিডেন্টকে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ম্যাকরন। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তুরস্কও। শান্তিপূর্ণ সমাধানে দেশটি অবদান রাখতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান। জেলেনস্কিরও আস্থা রয়েছে এ নেতার ওপর। এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট উভয় পক্ষকে যুদ্ধ থেকৈ সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়পক্ষকে বলবো যতো দ্রুত সম্ভব যুদ্ধবিরতিতে আসুন। শান্তি প্রণয়নে রাখুন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কিও জানিয়েছেন, অনেক ইস্যুতেই এরদোগান ইউক্রেনকে সহায়তা করেছে। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। যুদ্ধ বন্ধেও রাজনৈতিকভাবে তিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আশা করি, পুতিন বুঝতে পারবেন এ যুদ্ধ বন্ধ করা উচিৎ।

তালিকায় রয়েছে সৌদি আরব ও ইসরায়েল। পুতিনের সাথে ফোনালাপে মধ্যস্ততায় আগ্রহ দেখিয়েছেন সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। আর চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মস্কো সফর করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন জেলেনস্কির সাথেও।

সফর শেষে তিনি বলেছেন, সব পক্ষের সাথে সমঝোতার লক্ষ্যে আমি মস্কো সফরে গিয়েছিলাম। বর্তমানে ইউক্রেনের পরিস্থিত ভালো নয়। সেখানে চরম মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সমঝোতার সামান্য সুযোগও হাতছাড়া করা উচিৎ না।

তবে এখন পর্যন্ত নীরব ভূমিকা পালন করলেও যুদ্ধ বন্ধে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে চীন, এমনটাই মত অনেকের। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলোর রাশিয়া বিরোধী অবস্থান আর চীন-রাশিয়ার সম্পর্কের কারণেই ইউরোপের অনেক নীতি নির্ধারকই মনে করেন কেবল চীনের হস্তক্ষেপেই হতে পারে চলমান সংকটের সমাধান।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply