সেতু হলেও একই উচ্চতায় রাস্তা না হওয়ায় ব্রিজের নিচ দিয়েই ৩০ বছর ধরে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত হয়েও প্রায় তিনযুগ ধরে সেতুর নিচ দিয়েই সাঁকো করে চলাচল করছেন বাসিন্দারা। দীর্ঘদিন ধরেই তাই বিচ্ছিন্ন গাজীপুরের ওধুর ও ছিকোলিয়া নামের দুটি গ্রামের মানুষ।
গ্রাম দুটির মাঝে বিস্তীর্ণ কৃষি জমির বুক চিরে চলে গেছে আট কিলোমিটার দীর্ঘ খাল। এই খালের ওপর মাথা তুলে দাঁড়িয়ে পাকা সেতুর ভগ্নাবশেষ। সেখানেই বাঁশের সাঁকোতে পারাপার চলছে সাতটি গ্রামের হাজারো মানুষের।
শিল্প নগরীর চাকচিক্য ছাপিয়ে অবহেলিত ওধুর ও ছিকোলিয়া গ্রাম। দুটি গ্রামই গাজীপুর মহানগরীর সীমানায় পড়েছে। প্রায় আড়াই হাজার পরিবারের বসবাস এই দুই গ্রামে। ওধুর খাল গ্রাম দুটিকে মহানগর থেকে আলাদা করেছে। ফলে খাল ডিঙিয়ে ৫০ বছরেও গ্রামের মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছায়নি।
এই দুটি ছাড়াও মহানগরীর বিন্দান, উলুখোলা, হারবাইদ ও সমরসিং গ্রামের আরও প্রায় তিন হাজার মানুষ রাস্তাটি দিয়ে পুবাইল বাজার বা স্টেশনে যাতায়াত করে।
২০১৩ সালে সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর গ্রাম দুটি নগরীর অন্তর্ভুক্ত হয়। অথচ সেতুর অভাবে ওধুর ও ছিকোলিয়া যেন মহানগরীর এক অজপাড়াগাঁ। একাধিকবার মৌখিক ও লিখিতভাবে ব্রিজটি মেরামতের জন্য আবেদন করলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে জানান স্থানীয় কাউন্সিলর।
প্রায় ৩০ বছর আগে এই সেতুটি নির্মাণ করে এলজিইডি। সেতুর উচ্চতায় রাস্তা নির্মাণ না হওয়ায় সেতুটি অব্যবহৃত থেকে যায় এখন পর্যন্ত।
তবে এরই মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং টিম জায়গাটি পরিদর্শন করেছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরণ। ব্রিজটি আবারও সচল করতে টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন।
এসজেড/
Leave a reply