প্রেমিকের ওপর প্রতিশোধ নিতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের নাটক!

|

ছবি: সংগৃহীত

আশিক মাহমুদ:

রাজধানীর ডেমরায় এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চার যুবকের বিরুদ্ধে। কিন্তু যমুনার অনুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো নাটক। ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকার এক ভুয়া সাংবাদিকের প্ররোচনায় ওই তরুণী সাবেক প্রেমিকের ওপর প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে এই নাটক সাজায় বলে স্বীকারোক্তিও দিয়েছে পুলিশের কাছে। প্রায় ৫০ জন নারীকে ব্যবহার করে হয়রানি করে এই মামলাবাজ চক্রটি।

গত সোমবার (৭ মার্চ) মধ্যরাতে এক তরুণীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেন লিপি নামের এক নারী। বলা হয়, মেয়েটিকে দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাইসহ চারজন ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেছে।

কিন্তু যমুনার অনুসন্ধান ও তথ্য প্রযুক্তি বলছে ভিন্ন কথা। কারণ অভিযুক্ত যুবক, ভুক্তভোগী তরুণী ও সহায়তাকারী নারী কেউও ঘটনার আগে-পরে কয়েকদিনে ডেমরা এলাকাতেই যাননি। তাহলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলো কীভাবে?

ঘটনার আরও গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায়। জানা যায়, ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধারকারী লিপিকে কয়েকদিন ধরে মোবাইলে দিকনির্দেশনা দিচ্ছে ডেমরা ও যাত্রাবাড়ী এলাকার এক ভুয়া সাংবাদিক আলমগীর সেলিম। এসব তথ্য প্রমাণ ভুক্তভোগী তরুণীকে দেখালে এক পর্যায়ে পুলিশের কাছে আসল ঘটনা তুলে ধরেন সে। জানায়, ভুয়া সাংবাদিক আলমগীরের প্ররোচনায় সাবেক প্রেমিকের ওপর প্রতিশোধ নিতেই এই নাটক।

ডিএমপির ডিসি (ওয়ারী) শাহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগী যে অভিযোগ করেছেন তার কোন সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে না। যখন আমরা মেয়েটাকে বোঝালাম তখন মেয়েটি সত্য কথাটা বলে। তার প্রেমিকের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তাকে এরকম অভিযোগ দিতে একটি চক্র পরামর্শ দেয়। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাদের ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে, তারা যদি আইনি ব্যবস্থা নেয় তাহলে মামলাবাজ এই চক্রের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

এই চক্র নিরীহ মানুষের পাশাপাশি প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও মামলা দিয়ে হয়রানি করতো। অন্তত ৪০-৫০ জন নারীকে ব্যবহার করে এমন শত শত মামলা দেয়ার অভিযোগ আছে চক্রটির বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: মায়ের মমতায় দেশ চালালে জনগণ পাশে থাকে: শেখ হাসিনা

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply