চ্যাম্পিয়ন্স লিগর শেষ আট বা কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছেছে লিভারপুল ও বায়ার্ন মিউনিখ। দ্বিতীয় লেগে ইন্টারের কাছে হারলেও দুই লেগ মিলে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে সেমিতে অলরেডরা। আরেক ম্যাচে বায়ার্ন, সালজবুর্গকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে পৌঁছেছে টপ ফোরে।
প্রথম লেগে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ঘরের মাঠে ইন্টারকে আতিথ্য দেয় লিভারপুল। কিন্তু ম্যাচের শুরুতে একক আধিপত্য দেখাতে পারেনি কোন দল। ৩১ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো লিভারপুল। কিন্তু ভ্যান ডাইকের হেড ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে ডি বক্সের ঠিক সামনে ফ্রি কিক পায় লিভারপুল। কিন্তু অ্যালেকজেন্ডার আরনল্ডের নেয়া ফ্রি কিক অল্পের জন্য খুঁজে পায়নি ইন্টারের জাল।
আক্রমণ করেছে ইন্টার মিলানও। তবে সাফল্য আসে ৬১ মিনিটে। লৌথারো মার্টিনেজের দুর্দান্ত ফিনিসিংয়ে লিড নেয় ইতালির চ্যাম্পিয়নরা। তবে দুই মিনিট পর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে অ্যালেক্সিস সানচেজ মাঠ ছাড়লে আর দ্বিতীয় গোল পাওয়া হয়নি ইন্টারের। তাতেই দুই লেগ মিলে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে সেমিতে পৌঁছায় লিভারপুল।
আরেক ম্যাচে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রথম লেগে কষ্টার্জিত ১-১ গোলের ড্র করার পর সালজবুর্গকে আতিথ্য দেয় বায়ার্ন। কিন্তু এদিন শুরু থেকেই যেন গোলের নেশায় মেতে ওঠে বাভারিয়ানরা। ১২ ও ২১ মিনিটে নিজের আদায় করা দুই পেনাল্টি থেকে গোল করেন লেভানডোভস্কি। ২৩ মিনিটে নিজের তৃতীয় গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসে শুরু থেকে সবচেয়ে কম সময়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই পোলিশ। এরপর কোম্যানের অ্যাসিস্ট থেকে ৩১ মিনিটে সার্জ গ্যানাব্রি স্কোর শিটে নাম তুললে ৪-০ গোলে লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে নাগেলম্যান শীষ্যরা।
দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্নের গোল উৎসবে যোগ দেন মুলার ও সানে। ৫৪ ও ৮৩ মিনিটে দু’টি গোল করেন মুলার। আর ৮৬ মিনিটে লিরয় সানে সপ্তম গোল করেন বায়ার্নের হয়ে। মাঝে সালজবুর্গ এক গোল শোধ দিলেও ৭-১ এর বিশাল জয় পায় বাভারিয়ানরা। দুই লেগ মিলে ৮-২ গোলে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় ৬ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
ইউএইচ/
Leave a reply