পুতিনের সমর্থনে বিলবোর্ডে ছেঁয়ে গেছে সিরিয়া

|

ফাইল ছবি

ইউক্রেনের আগ্রাসন শুরু করার পর থেকেই বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে পুতিনকে। তবে, উল্টো চিত্রের দেখা গেছে সিরিয়ায়। দেশটিতে বিশাল বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ ও ভ্লাদিমির পুতিনের ছবি। রাশিয়ার পক্ষে লেখা হয়েছে বিভিন্ন স্লোগানও।

ইউরোপ থেকে এশিয়া-এমনকি পুতিনের নিজ দেশ রাশিয়াতেও হয়েছে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ। মিত্র দেশ বেলারুশের সাধারণ মানুষেরও সমর্থন পাননি পুতিন। সবাই যখন যুদ্ধের বিপক্ষে তখন স্রোতের বিপরীতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া। দেশটির রাস্তার মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে, রাশিয়ার সমর্থনে বিভিন্ন বিলবোর্ড। বিশাল আকৃতির বিলবোর্ডগুলোতে পুতিনের ছবি ছাড়াও রয়েছে রাশিয়ার সমর্থনে বিভিন্ন স্লোগান। আরবি হরফে লেখা এসব স্লোগানে গাওয়া হয়েছে পুতিনের জয়গান।

গৃহযুদ্ধের সময় পুতিনের সহায়তা পেয়েছিলেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। দেশটিতে সেনা পাঠিয়ে বিদ্রোহীদের দমনেও রাখেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। আর তাই, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই যখন হচ্ছে পুতিন বিরোধী বিক্ষোভ; তখন বিলবোর্ডের মাধ্যমে সমর্থন জানালো সিরিয়া।

এ ব্যাপারে সিরিয়ার রাজনীতি বিশ্লেষক তারেক আল আহমেদ বলেন, পশ্চিমারা যখন সিরিয়ায় আক্রমণ করে তখন রাশিয়া পাঁশে দাঁড়িয়েছিল। এখন যে যুদ্ধ চলছে তা সিরিয়া, লিবিয়া এমনকি যুগোস্লোভাকিয়ায় চালানো আগ্রাসনেরই ফল। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর থেকে দেশগুলোকে অস্থিতিশীল করে ন্যাটোকে চাপিয়ে দিয়ে পশ্চিমারা আধিপত্য বিস্তার করতে চাচ্ছে।

তবে, রাজধানী দামেস্কসহ সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে রাশিয়ার সমর্থন থাকলেও, বিদ্রোহীদের দখলে থাকা কিছু এলাকায় রয়েছে ভিন্ন চিত্র। এসব এলাকায় বিদ্রোহীদের অবস্থান রাশিয়া বিরোধী। তাই সরকার সমর্থিতদের আশা, চলমান যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ার হস্তক্ষেপে এসব এলাকা বিদ্রোহীমুক্ত হবে।

তারেক আল আহমেদ আরও বলেন, আমাদের বিশ্বাস, যুদ্ধ যদি আরও দীর্ঘ হয় তবে তা ইউক্রেনের গণ্ডি পেড়িয়ে সিরিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়বে। সিরিয়ার যেসব এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা রয়েছে সেসব এলাকায় যুদ্ধ বাঁধাতে পারে পুতিনের সেনারা। এছাড়া ইদলিবসহ যে এলাকাগুলোতে তুর্কি সেনা রয়েছে সেখানেও হতে পারে যুদ্ধ।

মধ্যপ্রাচ্যের বাকি দেশগুলোর অবস্থান যেখানে যুদ্ধ বিরোধী, সেখানে সিরিয়ার এ অবস্থান অঞ্চলটির রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে সেটাই দেখার বিষয়।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply