সামরিক অবস্থানে অভিযান চালানোর কথা বললেও রাশিয়ার লক্ষ্য বেসামরিক নাগরিক। আর তাই সাধারণ মানুষদের লক্ষ্য করে এখন হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী, এমন অভিযোগ কিয়েভের। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, সিরিয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতেই ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চলছে রুশ হামলা।
অবশ্য শুরু থেকেই পুতিনের দাবি সামরিক স্থাপনাই তাদের লক্ষ্য। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইউক্রেন বেসামরিক মানুষকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহারের জন্য যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
রয়টার্স বলছে, মূলত মারিওপোলে হাসপাতালে তাণ্ডবের পর আবারও আলোচনা আসে ইউক্রেনে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রুশ হামলার বিষয়টি। জাতিসংঘ বলছে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইউক্রেনে ১৩শর বেশি সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছে। আবাসিক এলাকার পাশাপাশি হাসপাতাল, স্কুল, পার্কের মতো স্থাপনাও রক্ষা পায়নি রুশ বাহিনীর থাবা থেকে।
খারকিভের একজন বাসিন্দা নাতালিয়া শেহরিনা বলছেন, রান্নাঘরের দরজা খুলতেই আগুনের আঁচ এসে গায়ে লাগে। চারপাশ থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পাই। বুঝলাম যে আমাদের আবাসিক এলাকাতে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। প্রশাসনিকভাবেও কিয়েভ বলছে, পরিকল্পিতভাবেই বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এরই মধ্যে রাজধানী ছেড়েছে অর্ধেকের বেশি বাসিন্দা। শরণার্থী হয়েছে দেশটির কয়েক লাখ মানুষ।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেস্কি অ্যারিস্তোভিচ জানান, মারিওপোলে হাসপাতালে হামলার ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে গেছে যে রুশ বাহিনী তাদের লক্ষ্যে পরিবর্তন এনেছে। বেসামরিকদের ওপর হামলার কারণ হলো ইউক্রেনকে তারা সিরিয়া বানাতে চায়। সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করাই মস্কোর লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন রাশিয়ার লক্ষ্য অনেকটাই স্পষ্ট। তারা প্রতিটি শহর মারিওপোলের মতো ধ্বংসস্তুপে পরিণত করতে চায়। ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা আরও বলেন, যেসব শহরে সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মারিওপোল। আসলে মস্কো দেখাতে চাইছে, তারা চাইলেই খারকিভ, কিয়েভের মতো শহরগুলোরও একই অবস্থা করতে পারে।
এদিকে, সংঘাতপূর্ণ এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে খাবার পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট।
/এডব্লিউ
Leave a reply