ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের মধ্যে নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে অনাথাশ্রমের অনেক শিশু। রাষ্ট্রায়ত্ত এমন একটি অনাথাশ্রমের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তি ভিডিওবার্তায় জানিয়েছেন আকুতি। তিনি বলেন, এখানে ২০ জন শিশু আছে, দয়া করে সাহায্য পাঠান!
বিবিসিতে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়, ইউক্রেনে বর্তমানে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু দিন কাটাচ্ছে নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়ের মাঝে। সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব অনাথাশ্রমের শিশুদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য সুশীল সমাজ ও ধর্মীয় নানা গোষ্ঠীও মরিয়া হয়ে চালাচ্ছে চেষ্টা। দেশের বাইরে নিরাপদ স্থানে পাঠানোর ব্যাপারে কাজ চলছে। এরমধ্যে ৩০০ শিশুকে পোল্যান্ডের ওয়ারশ’তে পাঠানো গেছে নিরাপদেই। ২৪ ঘণ্টা বাস ভ্রমণের পর ক্লান্ত অবস্থায় পরদিন তারা পেয়েছে সাময়িক বাসস্থান। তবুও প্রায় ১০ হাজারের বেশি শিশু প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় এখনও গুলি ও বোমা বর্ষণের বিভীষিকার মাঝেই কাটাচ্ছে দিন-রাত।
ইউক্রেনের শিশু অধিকার বিশেষজ্ঞ মাইকোলা কুলেবা বিবিসিকে বলেন, সবাই প্রচণ্ড ভয়ে আছে। সব সময় বিপদ সংকেতের ঘণ্টা বেজেই চলেছে। বোমা বর্ষণের শব্দে কেঁপে উঠছে সবাই। এটা একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। তবে এর চেয়েও ভয়ানক হচ্ছে, শিশুরা রয়েছে এই বিভীষিকার মধ্যে। বোমা বর্ষণের শব্দে কাঁদছে ওরা। তারা বুঝতে পারছে না চারপাশে কী ঘটছে। পর্যাপ্ত বাস নেই আমাদের। খাবারের সংকটও দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধির জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুরই অভাব এখানে।
কিয়েভের এক অনাথাশ্রমের দায়িত্ব পালনরত এক ব্যক্তি ১১ মার্চ রাতে ভিডিওবার্তায় বলেন, শুভ সন্ধ্যা। আমরা নিচ তলায় বসে আছি। বাতিগুলো নিভিয়ে রাখা হয়েছে। আমাদের এখানে ২০ জন শিশু রয়েছে। ওয়ারশ’তে আমাদের নিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ যদি থাকে আপনাদের কাছে, আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো। দয়া করে সাহায্য পাঠান।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের শরণার্থী নিয়ে করা প্রশ্নে অট্টহাসি দিয়ে বিপাকে কমলা হ্যারিস (ভিডিও)
এম ই/
Leave a reply