রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ী গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লি দেশের বৃহত্তম যৌনপল্লি। এখানে ১ হাজার ৩শর বেশি পেশাদার যৌনকর্মীসহ প্রায় ২ হাজার মানুষের বসবাস। এবার এখানকার যৌনকর্মীদের বাচ্চাদের জন্ম নিবন্ধনে দেখা দিয়েছে জটিলতা। এর কারণ, অনেক শিশুরই আনুষ্ঠানিক কোনো পিতৃপরিচয় নেই।
যদিও বর্তমানে যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের মাধ্যমে অস্থায়ী অভিভাবক দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করা হচ্ছে। কিন্তু ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও অস্থায়ী অভিবাবকরা। এছাড়া অস্থায়ী অভিভাবকের রয়েছে ওয়ারিশ জটিলতা।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বলছেন, বিধিমালা অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকলে বাবার নামের জায়গায় ‘অপ্রাপ্ত’ লিখে নিবন্ধন করার বিধান আছে। তবে ইতোমধ্যে যারা অস্থায়ী অভিভাবক হয়েছেন, তাদের ওয়ারিশের বিষয়ে আদালত মীমাংসা করতে পারবেন।
দৌলতদিয়া যৌনপল্লির যৌনকর্মী ও শিশুদের নিয়ে কাজ করে পায়াকট বাংলাদেশ, মুক্তি মহিলা সমিতি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, কেকেএসসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। সংস্থাগুলোর জরিপ অনুযায়ী যৌনপল্লিতে ০ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ২০০ জন। ওই শিশুদের জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হলে বাবার নাম না থাকায় দেখা যায় জটিলতা। কারণ, বর্তমানে যারা যৌনপল্লির বাচ্চাদের অভিভাবক হচ্ছেন, জন্ম নিবন্ধন সূত্রে ভবিষ্যতে তাদের ওয়ারিশ হবে ওই শিশুরা। ফলে তাদের ঔরসজাত সন্তানের পাশাপাশি দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এসব শিশুরাও অস্থায়ী ওই অভিভাবকের সম্পত্তির ওয়ারিশ হচ্ছে।
একদিকে রয়েছে যেমন অস্থায়ী অভিভাবকের ঝামেলা, অন্যদিকে শিশুদের উচ্চশিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে স্থায়ী অভিভাবকের প্রয়োজন হবে। তাই অনেকের ধারণা যৌনপল্লিতে যৌনকর্মীদের রেজিস্ট্রি অনুযায়ী বিয়ের ব্যবস্থা করা হলেই দূর হবে যৌনপল্লি শিশুদের অভিভাবক জটিলতা।
/এডব্লিউ
Leave a reply