অস্তিত্ব সংকটে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণিরা

|

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণি।

অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণী। উদ্যানের ভেতরে থাকা সড়ক-রেলপথ আর বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে প্রায়ই মারা পড়ছে প্রাণিগুলো। এরমধ্যে রয়েছে বিলুপ্ত ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীও। এতে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদ আর বনবিভাগ।

গত ৩ মার্চ বন্যপ্রাণী দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মৃত্যু হয় বিপন্ন প্রজাতির এক মা হনুমানের। একই দিন গাড়ির চাপায় মৃত্যু হয় আরও একটি বানরের। সেটিও ছিলো বিপন্ন প্রজাতির। এতে ক্ষুব্ধ-হতাশ পরিবেশবিদরা।

বনবিভাগ বলছে, সড়ক-রেলপথ আর বিদ্যুতের তারের কারণে বেড়েই চলেছে মৃত্যুর ঘটনা। প্রতি বছরে মারা পড়ছে শতাধিক বন্যপ্রাণি। পল্লীবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে দফায় দফায় বিষয়টি জানানোর পরও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, সাতছড়িতে রাবারকোটের বৈদ্যুতিক তার দেয়া হয়েছে। এখন হনুমান-বানরগুলো ওই তারগুলোর সাথেই খেলছে। তবে এই লাউয়াছড়াতে সেটি অনুপস্থিত।

যমুনা টিভির ক্যামেরা দেখে নড়েচড়ে বসেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস কর্তৃপক্ষের। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৈদ্যুতিক তারের কারণে কোনো বণ্যপ্রাণী মারা গেলে সেটি আমরাও মানবো না। যেখানে যে ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন হয় সেটি আমরা নেবো। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে সম্মিলিতভাবে বন্যপ্রাণী রক্ষায় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। এর বাইরেও প্রতিনিয়ত বনভূমি উজার হচ্ছে। এতে খাদ্য ও আবাস সংকটে পড়েছে বণ্যপ্রাণী।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply