সুইফট নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার ব্যাংকের সাথে বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশের লেনদেন। কিন্তু দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য সচল রাখতে বিকল্প চিন্তা করছেন ব্যবসায়ী ও ব্যাংকাররা। এক্ষেত্রে চীনকেই সবচেয়ে ভালো বিকল্প ভাবছেন তারা। ব্যবসায়ীরা ইয়েনের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধকেই নিরাপদ মনে করছেন। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সমঝোতার ভিত্তিতেই লেনদেন নিষ্পন্ন করা হবে।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পরই রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পশ্চিমা দেশগুলো। দেশটির ১২টি ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া ছাড়াও আন্তর্জাতিক লেনদেনে বার্তা আদান-প্রদানকারী সুইফট পেমেন্ট নেটওয়ার্ক থেকেও বের করে দেয়া হয় মস্কোকে।
সুইফট থেকে বাদ পড়ায় রাশিয়ান ব্যাংকের সাথে লেনদেন বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশেরও। এতে অনশ্চিয়তার মুখে পড়েছে ৬০ কোটি ডলারের বাণিজ্য। যদিও দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চালিয়ে নিতে বিকল্প ভাবছে ব্যাংকাররা।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী বলেন, ইউএস ডলার দিয়ে যে ক্লিয়ারিংগুলো (লেনদেন) হয় তা আমরা বেশিরভাগ সময় নিউইয়র্ক থেকেই করি। ইউরোপের দেশগুলোর সাথেও আমাদের ক্লিয়ারেন্স ব্যবস্থাপনা আছে। তবে এখন চীনা ব্যাংকগুলো সক্রিয় হচ্ছে। তারাও আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সুবিধা দিচ্ছে।
এখন চীনা ব্যাংকগুলো থেকে লেনদেনের একটি নতুন সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীন সুইফটে আছে। এখন চীনা ব্যাংকগুলো থেকেই ক্লিয়ারিংগুলো করার একটা সম্ভাবনা আছে।
সুইফটের সাথে বিশ্বের ১১ হাজার ব্যাংক জড়িত। তাই এর বিকল্প মাধ্যম তৈরি খুব একটা সহজ নয়। তারপরও ঋণপত্র নিষ্পত্তিতে চীনই সবচেয়ে ভালো বিকল্প বলেও মনে করেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, মস্কোর সাথে লেনদেনের জন্য বিকল্প খোঁজা হচ্ছে। তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমেও লেনদেন হতে পারে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে সময়ের ওপর। রাশিয়ায় রফতানি করা অর্থ আটকে গেলে তা সমন্বয়ে সময় দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এসজেড/
এসজেড/
Leave a reply