ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিজারের সময় নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার অভিযোগ

|

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিজার অপারেশনের সময় এক শিশুর হাত ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

রোববার বিকেলে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী ওই শিশুর পরিবার। জন্মের পর নবজাতকটি ভাঙা হাত নিয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছে। ৭ মার্চ রাতে শহরের কুমারশীল মোড়ের ‘গ্রীণ ভিউ হাসপাতালে’ এ ঘটনা ঘটে।

সিভিল সার্জন অফিসে দেয়া অভিযোগ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার সুহিলপুর গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী সাদ্দাম মিয়া ও সাবিনা ইয়াছমিন দম্পতি জেলা শহরের জেল রোডের ইউনাইটেড হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক নুসরাত জাহানের কাছে নিয়মিত চেক আপে ছিলেন। গত ৭ মার্চ বিকেলে সাবিনার প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে তাৎক্ষণিক জেলা শহরের কুমারশীল মোড়ে গ্রীণ ভিউ হাসপাতালে নিয়ে আসে পরিবারের সদস্যরা। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক তাসনুভা সাঈদ তাকে সিজারিয়ান অপারেশন করলে সাবিনা ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। নবজাতককে হাসপাতালের সেবিকারা ইয়াছমিনের মা পারভিন বেগমের কাছে দিতে গেলে তিনি শিশুটির বাম হাত ফুলা দেখতে পান।

তখন এর কারণ জিজ্ঞাস করলে তারা বলেন, শিশুটির জন্মগত সমস্যা হয়েছে, তাকে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আবু হামেদ বাবু দেখে বলতে পারবেন। এরপর ৮ মার্চ শিশুটির কান্না না থামলে ডা. আবু হামেদ বাবু তাকে দেখে জানান, শিশুটির জন্মের সময় হাত পিছনে ছিল তাই দুর্বলতা থেকে এমন হচ্ছে। তারপর তিনি এক্সরে করে জানান শিশুটির হাত ভাঙা। এই ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় শিশুটির মামা মোস্তাকুল ইসলাম রোববার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ওই শিশুর নানি পারভীন বেগম জানান, নিয়মিত যে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ছিলাম তিনি আমাদের নবজাতকের সবকিছু নরমাল ছিল বলেন। কিন্তু সিজারের পর তারা শিশুটিকে আমাদের কাছে হাত ভাঙা অবস্থায় দেন।

অভিযোগকারী মোস্তাকুল ইসলাম বলেন, পেটের ভেতরে শিশুটির হাত পেছনে থাকায় সেটি ভেঙে গেছে বলেছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা। ওই সময় হাত ভেঙে গেলে শিশুটি জীবিত জন্ম নিতো না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইলে অভিযুক্ত গাইনি চিকিৎসক তাসনুভা সাঈদ জানান, শিশুটির হাত ভেঙে যায়নি। মায়ের পেটে তার হাত পেছনে ছিল। জন্ম হওয়ার পর তার হাত ঝুলছিল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা শিশুটির পরিবারের লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: নারীর আপত্তিকর ছবি দিয়ে টিকটক ভিডিও, সংঘর্ষে নিহত ৩
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply