রুশ আগ্রাসনের পেরিয়েছে দুই সপ্তাহের কিছুটা বেশি। এই ১৮ দিনে নারকীয় হামলায় আড়াই মিলিয়ন ইউক্রেনীয় বাধ্য হয়েছে দেশ ছাড়তে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই ঘটনাকেই সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শরণার্থী সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইউএনএইচসিআরের কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি।
রুশ হামলা থেকে বাঁচতে ইউক্রেনের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা দেশটির পশ্চিম প্রান্তে গিয়ে আশ্রয় নেয়। তবে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত প্রায় আড়াই মিলিয়ন ইউক্রেনীয় ছেড়ে গেছেন মাতৃভূমি, জাতিসংঘের শরণার্থী কমিটি জানিয়েছে এ তথ্য। নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে দেশত্যাগকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। প্রশাসন থেকে জরুরি অবস্থা জারির পর ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী ইউক্রেনীয়দের দেশ ত্যাগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
গত শুক্রবার (১১ মার্চ) পর্যন্ত, ১.৬ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় পেরিয়ে গেছে দেশটির সীমান্ত। ইউএনএইচসিআর জানায়, এর অধিকাংশই আশ্রয় নিয়েছে পোল্যান্ডে।
ইউক্রেনের পশ্চিম ও দক্ষিণে থাকা দেশগুলোয় গিয়েছে বড় সংখ্যক শরণার্থী। রুশ আগ্রাসনের পর থেকে ২ লাখ ৪৫ হাজারেরও বেশি ইউক্রেনীয়কে আশ্রয় দিয়েছে হাঙ্গেরি। এছাড়া ১ লাখ ৯৫ হাজারের বেশি শরণার্থী প্রবেশ করেছে স্লোভাকিয়ায়।
মলদোভার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকো পপেস্কু জানান, দেশটিতে প্রবেশ করেছে ৩ লাখ ২৮ হাজারের বেশি ইউক্রেনীয়। এছাড়া প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়ায় ১ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
এর বাইরে ইউরোপের জার্মানি, অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লিথুয়ানিয়া, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল এবং সুইডেনের মতো ইউরোপিয়ান দেশগুলো জানিয়েছে, প্রতিটিতেই হাজারের বেশি ইউক্রেনীয় প্রবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: কিয়েভের আশপাশে হামলার পরিসর বাড়াবে রুশ সেনাবাহিনী
এম ই/
Leave a reply