পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন আজ

|

ছবি: সংগৃহীত

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মধ্যে বয়ে চলেছে আনন্দের বন্যা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। বিদ্যুৎকেন্দ্র দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।

দেশের সর্ববৃহৎ পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। আমদানি করা কয়লা দিয়ে চালিত আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির সর্বাধুনিক কেন্দ্রটি পরিবেশের ক্ষতি করবে না বলে দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের।

সরকারের দীর্ঘ মেয়াদী বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনার প্রথম সফলতা এই পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পটুয়াখালীর দুর্গম এলাকায় আড়াই বিলিয়ন ডলারের প্রকল্পটিই এখন এককভাবে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

চীনের সাথে যৌথ উদ্যোগে ২০১৬ সালে এক হাজার একর জমিতে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ। নির্ধারিত সময়ে ২০২০ সালেই উৎপাদন শুরু করে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এখানেই আরও একটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির কাজ চলমান। হিসাবে দেখা যায়, বাজেটের চেয়ে একশ মিলিয়ন ডলার কম খরচে তৈরি হয়েছে এই মেগা প্রকল্প।

৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুইটি ইউনিট রয়েছে তাতে। ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কয়লা খালাস করতে নিজস্ব জেটিও তৈরি করেছে বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি। জেটি থেকে আচ্ছাদিত অবস্থায় কয়লা সরাসরি চলে যাচ্ছে বৃহদাকার কোল ডোম্বে। সরকারের দাবি, পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সর্বাধুনিক এই প্রকল্পে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শাহ আবদুল মওলা জানান, অনলাইনে ২৪ ঘণ্টা প্রকল্পটির তদারকি করা যায়।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ বিভাগের জন্য প্রকল্পটি বড় বিষয় ছিল। বাজেটের চেয়েও কম খরচে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উৎপাদনে এসেছে।

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সঠিক সময়ে উৎপাদনে আসলেও সময়মতো সঞ্চালন লাইন তৈরি করা সম্ভব হয়নি নদী পারাপারজনিত জটিলতায়। ফলে এখানকার দুটি ইউনিটের পুরো বিদ্যুৎ কাজে আসছে না এখনও। দক্ষিণ এশিয়ায় এ ধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশই প্রথম।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply