ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দেননি অধিকাংশ বিশিষ্ট নাগরিক; যা বলছে বিএনপি

|

সকালে নির্বাচন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে আয়োজিত সংলাপে ৩৯ জন আমন্ত্রিত অতিথির মধ্যে ১৯ জন অংশ নিয়েছেন, বাকিরা আলোচনায় অংশ নেন। এদিকে আমন্ত্রিতদের অধিকাংশের অনুপস্থিতি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইসির সংলাপে অধিকাংশ আমন্ত্রিতদের অনুপস্থিতিই প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশন নিয়ে সুশীল সমাজের আগ্রহ নেই।

প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনার শুরুতে সিইসি বলেন, নির্বাচনের প্রতি আস্থা ফেরাতে, গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে ও মানুষকে নির্বাচনমুখী করতে চায় বর্তমান নির্বাচন কমিশন। সে উদ্দেশ্য সফল করতে সকলের সহায়তা ও পরামর্শ চায় কমিশন। উপস্থিত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা কমিশনকে সাহস নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। আগামী নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এবং নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ যেন নিশ্চিত করা হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে আলোচনায়। আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, সাবেক আমলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা।

কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন এ কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদদের সঙ্গে প্রথম সংলাপ করে। সেদিন ৩০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও সংলাপে এসেছিলেন ১৩ জন। শিক্ষাবিদদের পর আজ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বসছে ইসি। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে নিজেদের কর্মপন্থা ঠিক করবে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে আরও বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় কোনো প্রভাব রাখতে পারবে না। তিনি বলেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এছাড়া ইসির সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ নিয়েও বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply