সমঝোতা চুক্তির প্রায় সাড়ে তিন মাস পরও শুরু হয়নি মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণ। মূলত সিন্ডিকেট ইস্যুতেই আটকে আছে শ্রমবাজারটি। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার পক্ষে সব এজেন্সি। তবে নির্দিষ্ট কিছু এজেন্সি, নাকি সবাই কর্মী পাঠাতে পারবে, তা নিয়েই দেখা দিয়েছে জটিলতা। কর্মীস্বার্থ নিশ্চিত করেই পুরো প্রক্রিয়া সুগমের পক্ষে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী।
প্রায় সাড়ে ৩ বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি হয় গত বছরের ডিসেম্বরে। এরপর কেটে গেছে প্রায় সাড়ে ৩ মাস। অথচ এখনও চূড়ান্ত হয়নি কোনো সিদ্ধান্তই।
সিন্ডিকেট ইস্যুতেই ঝুলে আছে মধ্যপ্রাচ্যের বাইরে সবচেয়ে বড় এই শ্রমবাজার। সমঝোতা চুক্তিতে না থাকলেও এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিতে চায় মালয়েশিয়া। আর সেটি নিয়েই দেখা দিয়েছে বিতর্ক। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থান।
জনশক্তি রফতানিকারকরা বলছেন, সিন্ডিকেট হলেই অভিবাসন ব্যয় বাড়বে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিদেশগামী কর্মীরা। এ বিষয়ে ভিন্নমত আছে কারো কারো। সিঙ্গাপুরসহ আরো কয়েকটি দেশের সিন্ডিকেটের বিষয়ে নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের স্বার্থেই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি খোলা দরকার। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির পাশাপাশি প্রবাসী আয়ও বাড়বে।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ অবশ্য আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পথ দেখছেন। বলছেন, কর্মীস্বার্থ নিশ্চিত করা হবে সবার আগে।
এজেন্সি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় আলোচনার প্রস্তাব দিলেও, তাতে এখনো সাড়া দেয়নি মালয়েশিয়া।
এসজেড/
Leave a reply