ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রতিনিয়ত মেয়েদের গায়ে হাত দিয়ে উত্যক্ত, স্কুলে ও রাস্তায় অশ্লীল কথাবার্তা, কয়েক দফা অভিভাবক ডেকে বিচার বসিয়েও শান্ত হয়নি মহেশপুর উপজেলার জিএইচজিপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ৮ শিক্ষার্থী নিশান, খাব্বার, অপু দাস, সুজন, পিয়াল, সাব্বির, আহসান, জাবারুল।
প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তাতেও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে ইভটিজিং এর শিকার ১৭ মেয়ে শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেন মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে। মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় ৮ ইভটিজারকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করেছেন মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম।
স্কুলের শিক্ষার মান নিশ্চিত, মেয়েদের ইভটিজিং বন্ধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
জিএইচজিপি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিয়ার রহমান জানান, ১০ম শ্রেণীর ৮ জন শিক্ষার্থী কোন শিক্ষকের কথা শুনতো না। মেয়েদের নানা ভাবে হয়রানি ও ইভটিজিং করতো। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার অভিভাবক ডেকে মিটিং করে জানানো হয়েছে। তার পরেও ছেলেগুলো কথা শুনতো না।
তিনি বলেন, সোমবার বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ১৭ মেয়ে শিক্ষার্থী মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম, মহেশপুর থানার ওসি, উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন। এ প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ইউএনও নিজে এসে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৮ শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বের করে দেন এবং ম্যানেজিং কমিটিকে নির্দেশ ৮ জনকে স্কুল থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মহিদুল ইসলাম বলেন, যাদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা খুব দুষ্টু। কারো কথা শুনতো না। ইউএনও সারের নির্দেশে তারা স্কুল থেকে তাদের বহিষ্কার করেছেন।
ইউএনও কামরুল ইসলাম বলেন, মেয়েরা ইভটিজিং এর শিকার হয়ে বাধ্য হয়েই আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদরে সাথে কথা বলে সত্যতা প্রমাণিত হয় যে ৮জন ছেলে প্রতিনিয়ত মেয়েদের ইভটিজিং করে। আমি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছি ইভটিজারদের স্কুল থেকে বহিষ্কারের জন্য। এতে অন্য বিদ্যালয়গুলোতে যাতে ছেলেরা ইভটিজিং না করতে পারে।
Leave a reply