পিরোজপুর প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের কাউখালীতে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রী সালমা আক্তার রিতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ মামলার অন্য আসামি লিটু হাওলাদারের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বারবাকপুর গ্রামের আবদুল মোফাজ্জেল শিকদারের ছেলে আব্দুল মান্নানের সাথে দণ্ডপ্রাপ্ত রিতার বিয়ে হয়। প্রথম দিকে রিতা তার শ্বশুরবাড়িতে থাকলেও তার উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য তিরস্কৃত হয়ে স্বামী আবদুল মান্নানকে নিয়ে কাউখালীতে তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। সেখানে থাকাকালীন সে একই উপজেলার নাঙ্গুলী গ্রামের লিটু হাওলাদারের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে।
২০১৩ সালের ১৮ জুলাই রাত ১১ টার দিকে রিতার স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে আসামি লিটু রিতাকে দরজা খুলে দিতে বলে। পরে লিটু ঘরে ঢুকে রিতার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক চলাকালে তার স্বামী দেখে ফেলেন। বিষয়টি গোপন রাখার জন্য লোহার রড দিয়ে আবদুল মান্নানকে আঘাত করে তারা। এতে সে ঘটনাস্থলে মারা যান মান্নান। পরে গলায় রশি লাগিয়ে মান্নানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা হিসেবে চালাবার চেষ্টা করা হয়।
ওই রাতেই রিতার ভাই রিয়াজ মান্নানের ভাই হান্নান শিকদারকে ফোনে জানান যে তার ভাই অসুস্থ। সকালে তারা এসে মান্নানকে মৃত দেখলে পুলিশকে জানান। পরে এ ঘটনায় কাউখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাটি আদালতে গেলে বিচারকার্য শেষে পিরোজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ এস, এম, নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। অন্য আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। আসামি রিতা পলাতক থাকায় রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
/এসএইচ
Leave a reply