আগুনে পুড়ছে বন! শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতি, শ্রীবর্দী ও নালিতাবাড়ি এলাকায় গত কয়েক বছর ধরেই শুষ্ক মৌসুমে বনের বিভিন্ন অংশে আগুন দিচ্ছে একটি চক্র। এতে পুড়ছে চারা, নষ্ট হচ্ছে বড় গাছ। বনবিভাগ যখন আগুন নেভাতে ব্যস্ত সেই সুযোগে মূল্যবান গাছ কেটে লোপাট করছে চক্রটি।
শাল বাগানের জন্য সুখ্যাতি আছে শেরপুরের সীমান্তবর্তী তিন উপজেলার। এখানকার বিস্তৃত বনভূমিকে কেন্দ্র করে তাই গড়ে তোলা হয়েছে পর্যটন কেন্দ্র ও অভয়ারণ্য। কিন্তু পুরনো এই বাগান ধ্বংস করে লাগানো হচ্ছে ইউক্যালিপটাস-আকাশমনিসহ পরিবেশ বৈরি গাছের চারা। এসব চারা লাগাতে মৌসুমে আগুন দেয়া হয় শুস্ক বনভূমিতে। এতে মরে যাচ্ছে অনেক বড় গাছ। সেই গাছ রাতারাতি কেটেও নিচ্ছে একটি চক্র।
অথচ ২০১৯-২০ অর্থবছরেও শাল-গজারি বন রক্ষায় কোটি টাকার প্রকল্প আছে। স্থানীয় অধিবাসীদের অভিযোগ, সরকারি গাছ দেখভালের বিনিময়ে টাকা দেয়ার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। এখন সেই গাছই রাতারাতি লুট হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানালেন, কথা ছিল শালবন রক্ষা ও দেখভালের জন্য টাকা দিবে। কিন্তু সেই কথা রক্ষা করা হয়নি। ২০ বছর ধরে পরিশ্রম করছি আমরা, কিন্তু কেউ কখনও এক টাকাও দেয়নি।
শাল-গজারি রক্ষায় ব্যর্থতার জন্য লোকবলের অজুহাত দিয়ে শেরপুর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক আবু ইউসুফ বলেন, মূল বিষয়টি হলো যে প্রত্যেকটা বিট অফিসে যে পরিমাণ লোকবল আছে তা দিয়ে শালবনের আগুন নেভানো দুঃসাধ্য কাজ।
বনে আগুন দেয়ার ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে জানিয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশিদ জানালেন, জেলার বনবিভাগের অফিসারদের সাথে কথা বলে বীষদ ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে ইতোমধ্যেই। এছাড়াও স্থানীয় চেয়ারম্যান মহোদয়দের নির্দেশ দিয়েছি যেন, যারা বনে প্রবেশ করে বিশেষ করে যারা গরু-ছাগল চরান তারা যেন বিড়ি-সিগারেটের উচ্ছিষ্ট বনের ভেতরে না ফেলে
বনে আগুন দেয়ায় অনেক বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধ্বংস হয়েছে। খাবারের সন্ধানে হাতির পাল হামলা করছে লোকালয়ে।
/এসএইচ
Leave a reply