আফগানিস্তানে সব ধরনের মাদক ব্যবহার, উৎপাদন ও পরিবহনের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তালেবান সরকার। নিষিদ্ধ করা হয়েছে আফিম, হেরোইনসহ বেশ কিছু মাদকের কাঁচামাল হিসেবে পরিচিত পপি চাষও। যদিও দেশটির কয়েকটি প্রদেশের চাষিরা পপি চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে। পপি চাষ বন্ধ করে দিলে এসব চাষিদের কী হবে, সে বিষয়ে অবশ্য কোনো মীমাংসা দেয়নি আফগান সরকার।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ ঘোষণা করেন, যদি কেউ পপি চাষ করে তবে তা ধ্বংস করা হবে এবং শরিয়াহ আইন অনুযায়ী তার শাস্তি হবে। এছাড়া ওয়াইন, হেরোইন, সীসাসহ সব ধরনের মাদক ব্যবহার, পরিবহন ও উৎপাদনও নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেন তিনি।
আফগান সরাকরের উপ-প্রধানমন্ত্রী আব্দুল সালাম হানাফিও ঘোষণা করেন, আমরা আফগানিস্তানের মানুষকে সব ধরনের মাদক থেকে দূরে রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এদিকে আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশের বেশিরভাগ বাসিন্দাই জীবিকা নির্ভর করেন পপি চাষ করে। আফিম সংগ্রহের মৌসুমে আশপাশের প্রদেশ এমনকি পাকিস্তান থেকেও শ্রমিকরা হেলমান্দে আসেন কাজের খোঁজে। হেলমান্দ ছাড়াও কান্দাহার, নানগারহারসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রদেশের বাসিন্দাদের আয়ের উৎস এই পপি চাষ। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি পাকিস্তান থেকেও শ্রমিকরা এখানে কাজ করতে আসে। পপি ক্ষেতে কাজ করেই এসব শ্রমিক তাদের পরিবার চালায়। কৃষকরা বলছেন, এর আগের সরকার তাদের পপি ক্ষেত ধংস করে দিলেও দেয়নি কোনো ক্ষতিপূরণ। একজন কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বললেন, আমাদের জীবিকার জন্য বিকল্প কোনো পথ কি তাদের কাছে রয়েছে?
এদিকে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানে বন্ধ রয়েছে বিদেশি সহায়তা। ধারণা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মহলে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত তালেবানের।
/এডব্লিউ
Leave a reply