যুক্তরাষ্ট্রে লাগামহীন খাদ্যপণ্যের দাম। মাছ, মাংস, ফলমূলসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের দামই বেড়েছে। দেশটিতে একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৪ টাকায়। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া যুক্তরাজ্যেও বেড়েছে জীবন যাত্রার ব্যয়। গত ৩০ বছরের মধ্যে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি দেখছে ব্রিটিশরা। তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে জ্বালানির। বিদ্যুৎ বিল বেড়েছে ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত। এই পরিস্থিতির জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে দায়ী করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, শুধু আমেরিকা নয় গোটা বিশ্বেই প্রভাব পড়েছে ইউক্রেন যুদ্ধের।
গত সপ্তাহে তিন বছরের খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়, গেলো এক বছরে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে দেশটিতে। এ বছর সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম আরও সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি যেসব পণ্যের দাম বাড়বে তার মধ্যে রয়েছে গরুর মাংস, শূকরের মাংস, ডিম, চিনি, ফলমূল ও বেকারি পণ্য। বর্তমান লাগামহীন দামেও হাপিয়ে উঠেছেন অনেকে। মার্কিন সুপারশপগুলোতে এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩ দশমিক ৩২ ডলার বা ২৮৬ টাকায়।
এই সংকটের জন্য ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধকে দায়ী করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। যার প্রভাবে শুধু আমেরিকানরাই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গোটা বিশ্ব। প্রায় সব দেশেই বাড়ছে জ্বালানি এবং খাদ্যের দাম। তবে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাড়ানো হচ্ছে কর্মসংস্থান। কিছু সময়ের সংকটকে পরিসংখ্যান দিয়ে মাপলে চলবে না।
এদিকে যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীরাও চিন্তিত। এই ঊর্ধ্বমুখী ভাব কতদিন থাকবে, তা বলতে পারছেন না কেউই। একজন ব্যবসায়ী বললেন, এই দাম শীত মৌসুমে আবারও বাড়বে এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। সরকারি সহায়তা না বাড়ালে বিপদে পড়তে হবে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
ব্রিটেনর দাবি, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পণ্য আমদানি রফতানি। ফলে সবকিছুর দামই ঊর্ধ্বমুখী।
/এডব্লিউ
Leave a reply