ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে নিরাপত্তা প্রশ্নে নতুন পরিকল্পনা নিতে বাধ্য হচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো। এমনকি জোট নিরপেক্ষ হিসেবে পরিচিত ফিনল্যান্ড-সুইডেনও ভাবছে ন্যাটোতে যোগদানের কথা। তাদের সদস্যপদ দেয়ার ব্যাপারে রয়েছে ইতিবাচক ইঙ্গিত। যদিও মস্কোর হুঁশিয়ারি, সামরিক জোট সম্প্রসারণের পরিণাম হবে ভয়াবহ।
নরওয়ে উপকূলের কাছাকাছি সামরিক মহড়ায় ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের যৌথ ব্রিগেড। অত্যাধুনিক রাইফেল, মিসাইল লঞ্চার নিয়ে চলছে কোল্ড রেসপন্স ২০২২। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর ঠিক এক মাসের মাথায় অনুষ্ঠিত হলো ন্যাটোর এই মহড়া।
সদস্য না হলেও ন্যাটোর ঘনিষ্ঠ মিত্র ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তাদের সাথে নিয়মিত তথ্যের আদান-প্রদানও করছে সামরিক জোটটি। তবে সদস্যপদ না থাকায় আক্রান্ত হলে ন্যাটোর কোনো সুরক্ষা পাবে না দেশ দুটি।
ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলছেন, সুইডেন আর ফিনল্যান্ডের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন তারা। দেশদুটির নিরাপত্তা অবশ্যই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে ন্যাটো সদস্যদের যে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা তারা দেন, সুইডেন আর ফিনল্যান্ডকে সেটা দেয়া সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
মস্কোকে নিয়ে ভয় বেশি ফিনল্যান্ডের। রাশিয়ার সাথে ১৩শ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত দেশটির। ইউক্রেনে রুশ হামলার পর ন্যাটোতে যোগ দেয়ার দাবি জোরদার হয়েছে ফিনল্যান্ডে। এরই মধ্যে জোটে যোগদানের নিয়মকানুন নিয়ে ন্যাটো মহাসচিবের সাথে কথা বলেছেন ফিনিশ প্রেসিডেন্ট। আলাদা আলাদাভাবে তিনি যোগাযোগ করেছেন জোটের ৩০ সদস্যের সাথেই। এ মাসে ফিনল্যান্ডের পার্লামেন্টেও আলোচনা হবে বিষয়টি নিয়ে।
ইদকে দুই শতকে কোনো যুদ্ধে অংশ না নেয়া সুইডেনের মানুষ মূলত ন্যাটোতে যোগ দেয়া প্রশ্নে তাকিয়ে আছে প্রতিবেশী ফিনল্যান্ডের দিকে। নিরাপত্তা ইস্যুতে আর মস্কোর ওপর ভরসা রাখতে পারছে না আলফ্রেড নোবেলের দেশ। সুইডিশ মেজর স্টেফান নর্ডস্ট্রম স্পষ্ট করেই বলছেন, রুশরা যা করছে তাতে তাদের হুমকি হিসেবে না ভাবার কোনো সুযোগই নেই। পুরো ইউরোপের নিরাপত্তা পরিস্থিতিই পাল্টে গেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
অনেকেরই অভিযোগ, ন্যাটোতে যোগ দেয়ার উচ্চাভিলাষের কারণেই রুশ হামলার শিকার হয়েছে ইউক্রেন। আরও দুই প্রতিবেশীর সামরিক জোটে যোগ দেয়ার চিন্তা যে ভালো চোখে দেখবে না মস্কো, সন্দেহ নেই তা নিয়ে। এরই মধ্যে ক্রেমলিনের হুমকিও পাচ্ছে তারা।
/এডব্লিউ
Leave a reply