জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কয়েক বছর ধরে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধ। ফলে বার বার বাঁধ ভেঙে লবণ পানি প্রবেশ করছে ফসলি জমিতে। প্রতিকূলতার মধ্যে কৃষকদের আশা জাগিয়েছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিনা উদ্ভাবিত লবণসহিষ্ণু কয়েকটি জাতের ধান। এসব জাতের ধান চাষ করে ভালো ফলেও পেয়েছেন উপকূলের চাষিরা।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকার জমিতে ৮ থেকে ১৪ টিডিএস মাত্রা পর্যন্ত লবণাক্ততা রয়েছে। অধিক মাত্রায় লবণের উপস্থিতির কারণে এসব জমিতে ফসল উৎপাদন করা কঠিন। তবে লবণাক্ত এসব জমিতে বিনা ১০ জাতের ধান আবাদ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। এই ধান ১২ থেকে ১৪ টিডিএস মাত্রা পর্যন্ত লবণ সহ্য করতে পারে। চাষিরা বলছেন, এ ধানটি চাষে খরচও তুলনামূলক কম।
বিনার সাতক্ষীরা উপকেন্দ্রের ইনচার্জ ড. মো. বাবুল আক্তার জানালেন, সাতক্ষীরার সাত উপজেলার মধ্যে ৫টিতেই জমিতে লবণাক্ততা বাড়ছে। এর মধ্যে শ্যামনগর ও আশাশুনিতে উচ্চমাত্রায় লবণের উপস্থিতি মিলেছে। এসব এলাকার জমিতে লবণসহিষ্ণু বিনা ৮ ও ১০ জাতের ধান আবাদ করে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া পুরো জেলায় স্বল্পমাত্রার লবণসহিষ্ণু জাতের ধানের আবাদও বাড়ছে।
ময়মনসিংহে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম জানালেন, লবণাক্ত এলাকায় ধান চাষ বৃদ্ধিতে বিনামূল্যে লবণসহিষ্ণু জাতের বীজ বিতরণসহ নানা পদক্ষেপ নেয়ার উদ্যোগ রয়েছে তাদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চমাত্রার লবণসহিষ্ণু জাতের ধানের আবাদ হয়েছে।
/এডব্লিউ
Leave a reply