বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে স্পট ফিক্সিংয়ে এবার নতুন মোড়, যেখানে উঠে এসেছে দু’টি নাম। ৫ ক্লাবের সাথে ছায়া হয়ে আছেন এমন দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ‘মিয়া ভাই’ এবং ‘ইস্কান্দার মির্জা’ এই নামে দু’জন স্পন্সরের নাম ঢুকছে ক্লাবগুলোতে। আর এরাই কোমলমতি ফুটবলারদের ম্যাচ পাতাতে বাধ্য করে হাতিয়ে নিচ্ছেন বড় অংকের টাকা।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে স্পট ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত থাকার প্রথম অভিযোগ ওঠে ‘কাওরান বাজার ক্রীড়া সংঘে’র বিরুদ্ধে। ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত ঐ ক্লাবের একজন সরাসরি স্বীকার করেছিলেন। এরপর একে একে এসেছে- আজমপুর ক্লাব ও ফরাশগঞ্জের নাম। কিন্তু আড়ালে পড়ে ছিলো আরও দু’টি ক্লাব অগ্রণী ব্যাংক ও ওয়ারী ক্লাব। আর এই পাঁচ ক্লাবের নাম নিচ্ছেন এমন একজন- যিনি ইতিমধ্যে ফেঁসে গেছেন এই ফিক্সিং কাণ্ডে। তিনি এখন নাম-পরিচয় গোপন করে সামনে আনছেন দু’টি নাম- মিয়া ভাই ও ইস্কান্দার মির্জা। এই দু’জনকে ম্যাচ পাতাতে খুব কাছ থেকে দেখেছেন এই লোক।
নাম ও পরিচয় না প্রকাশের তিনি জানান, মির্জাকে ফুটবল সেক্রেটারি আর জামালকে কোচ হিসেবে দেয়ার দাবি স্পন্সরের। জামাল কোচ হওয়ার পেছনে মূল কারণ স্পন্সরকে নিয়ে আসছে। স্পন্সর মিয়া ভাই ১৫ জন ফুটবলার আর অর্থ দিবে। এরকম ৫টা ক্লাবের উপর ভর করেছে ইস্কান্দর মির্জা ও মিয়া ভাই। বাফুফের কাছেও এই পাঁচ ক্লাব নিয়ে অভিযোগ আছে। এদের সবাই আন্ডারকন্সট্রাকশনে থাকে। সবাই একটা চেইন মেইন্টেন করে।
কিন্তু এরা কিভাবে গড়ে ক্লাবের সাথে সংশ্লিষ্টতা। কিভাবেই বা আয়ত্তে নেয় ক্লাবের ফুটবলারদের। কিসের লোভেই বা ক্লাব মালিকরা সুযোগ দেন তাদের?
তিনি বলেন, ক্লাবের আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকা অবস্থায় স্পন্সর আসে। আর্থিক সুবিধা দেয়ার পাশাপাশি শর্ত দেয় নিজের পছন্দের কোচ আর ফুটবলার নেয়ার।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের একজন ইস্কান্দর মির্জাকে বারবার ফোন-মেসেজ দিয়েও সাড়া মেলেনি।
যে ৫ ক্লাবকে ঘিরে ফিক্সিংয়ের আওয়াজ তাদের চারটিই এই মৌসুমে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। বাকি একদল আছে টেবিলের পাঁচে।
/এসএইচ
Leave a reply