ইমরান খান ক্ষমতায় আসার আগে দুই দশক ধরে দু’টি পরিবারকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে পাকিস্তানের রাজনীতি। ভুট্টো-শরীফ পরিবারতন্ত্রের বলয় ভেঙে রাজনীতির নতুন ধারা তৈরি করেছিলেন ইমরান খান। দুই চিরশত্রু দলকে সরিয়ে পাকিস্তান পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে দায়িত্ব নেন এই ক্রিকেট সুপারস্টার। ইমরানকে গদি থেকে হঠানোর মূল হোতাও সেই দুই অভিজাত পরিবারই।
শুরুতেই আসবে তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ভাই শেহবাজ শরীফের নাম। দুর্নীতিবিরোধী বার্তা দিয়ে পিএমএলএন এর প্রেসিডেন্টের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন ইমরান। রাজনীতির ময়দানে বৈরিতা থাকলেও একই ইস্যুতে শেহবাজ শরীফের সাথে হাত মেলান পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-এর কো-চেয়ারম্যান আসিফ আল জারদারি। অর্থ কেলেঙ্কারির দায়ে দু’বার জেলও খেটেছেন যিনি।
ইমরানকে সরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল জারদারি-বেনজিরের ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টোরও। এমনকি জমিয়েতে উলামা-ই-ইসলাম পার্টির নেতা মাওলানা ফজলুর রেহমানও যোগ দেন ইমরান বিরোধী জোটে।
আরও পড়ুন: ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরানো নিয়ে যা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র
এবার শেহবাজের নেতৃত্বে যে সরকার গঠন হবে, তাকে অনেকেই আখ্যা দিচ্ছে ‘রেইনবো সরকার’ বলে। চলমান অর্থনৈতিক সংকট আর জঙ্গিবাদ ইস্যুতো আছেই; তবে সবকিছু ছাপিয়ে মূল আলোচনা, বহু দল-বহু মতের এই ‘জগাখিচুড়ি জোট’ টিকবে কতদিন?
আরও পড়ুন: ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো মুখ খুললেন ইমরান খান
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে হেরে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন ইমরান খান। তার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন দেশটির ১৭৪ জন সংসদ সদস্য। এর আগে ৩ এপ্রিল পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা থাকলেও শেষমুহুর্তে তা খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার। ভেঙে দেয়া হয় পার্লামেন্টও। গত বৃহস্পতিবার ডেপুটি স্পিকারের সে সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ও বেআইনি বলে রায় দেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। নতুন করে পার্লামেন্ট অধিবেশন ডেকে অনাস্থা ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেয়া হয়।
জেডআই/
Leave a reply