রাষ্ট্রীয় সীমানা নয়, গোপালগঞ্জ এবং নড়াইলের সীমানা নিয়ে জটিলতা

|

রাষ্ট্রীয় সীমানা নয়, গোপালগঞ্জের রেকর্ডভুক্ত জমি নড়াইল জেলায় অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। মূলত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের জন্য বদলে যাচ্ছে ঠিকানা। এ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে গোপালগঞ্জের তিন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। তারা করছেন বিক্ষোভ।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর সরসপুর, গোপালপুর ও চরপুকুরিয়া গ্রাম। বসবাস প্রায় দেড় হাজার পরিবারের। ১৯৯৫ সালে মানিকহার মৌজায় রেকর্ডভুক্ত করে মাঠ জরিপ হয়। ২০০৯ সালের জরিপে গোপালগঞ্জ ও নড়াইল মধ্যবর্তী রেখা সীমানা হওয়ার কথা থাকলেও রেকর্ডকৃত প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটার ভূমি নড়াইল জেলার ভিতরে নেয়ার কাযর্ক্রম শুরু হয়। এতে শত বছরের ঠিকানা বদলে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে তিন গ্রামের মানুষের।

এই তিন গ্রাম থেকে গোপালগঞ্জ শহরের দূরত্ব ৫/৭ কিলোমিটার। অথচ নড়াইল শহর প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে। তারা গোপালগঞ্জ থেকে নড়াইল যেতে চান না বলে জানালেন উরফি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির গাজী।

তবে এক জেলার রেকর্ডকৃত জমি অন্য জেলার অধীন হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানাচ্ছেন জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা। তিনি জানালেন, স্থানীয়ভাবে তদন্ত করে এ বিষয়টি মীমাংসা করা হবে। সীমানা নিয়ে জটিলতা নিরসনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানালেন তিনি।

গোপালগঞ্জের ভূমি নড়াইল জেলার অন্তর্ভুক্ত হলে স্থানীয়দের আর্থসামাজিকভাবে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply