রাজধানীর উত্তরা থেকে জিয়াউদ্দিন জামান নামে উচ্চশিক্ষিত ও কেতাদুরস্ত এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। প্রতারণা আর চাতুর্য দিয়ে মিথ্যাকে সত্য আর সত্যকে মিথ্য বানাতে সিদ্ধহস্ত তিনি। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের প্রলোভন দেখিয়ে শত কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেয়া আর অর্থ পাচারের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। কাতার, চীনসহ কয়েকটি দেশে অফিস খুলে প্রতারণা করে আসছিলেন জিয়াউদ্দিন। এসব দেশে সত্তর-আশি কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে র্যাব।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য ধরা পড়েছেন এই প্রতারক। সোমবার (১১ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এ সময় বিভিন্ন ব্যাংকের ৩৭টি চেকবই, জাল মুদ্রা ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন নথি জব্দ করা হয়।
এ নিয়ে মঙ্গলবার ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, পণ্যের চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যবসায়িক অংশীদার বানানোর লোভ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন জিয়াউদ্দিন। মাত্র পাঁচজন কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করতেন ষোলটি ভুয়া কোম্পানি। প্রতারণায় তার হাতেখড়ি অস্ট্রেলিয়াতে পড়াকালীন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, তিনি সম্প্রতি ১৯৬ কোটি টাকার একটি লোন পেয়েছেন। সেই লোনের মাধ্যমে যেই যন্ত্রপাতি তিনি কিনেছেন সেখানে ১৮ থেকে ১৯ শতাংশ ওভার ইনভয়েস প্রদর্শনের মাধ্যমে ৩০ থেকে ৪০ কোটি অর্থ পাচার করেছেন। জাল কাগজপত্র দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিপুল ঋণ নেন বলেও জানানো হয় ব্রিফিংয়ে।
শিল্পপতিসহ মানুষকে আকৃষ্ট করতে জিয়াউদ্দিন বনানী এলাকায় অফিস ও দামি গাড়ি ব্যবহার করতেন। পাশাপাশি বিদেশেও নামমাত্র অফিস নিয়েছিলেন তিনি।
জেডআই/
Leave a reply