রোহিঙ্গা জনস্রোতে জীবিকা সংকটে স্থানীয়রা, পাশে দাঁড়িয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা

|

কক্সবাজারে নারীদের সমবায় দল।

রোহিঙ্গা জনস্রোতে চ্যালেঞ্জের মুখে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা। কম মজুরিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। মিটছে না পুষ্টি চাহিদা। এসব মানুষের দিন ফেরাতে কাজ করছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন। তাদের বিনিয়োগে বিকল্প পেশা পেয়েছে হতদরিদ্রদের একটি অংশ। এতে আয় বেড়েছে, পাশাপাশি তৈরি হয়েছে সঞ্চয়ের সমবায় দল।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় লালমতির সংসারে বিপদ বাড়ে। কম টাকায় কাজ করে উপার্জনে ভাগ বসায় শরণার্থীরা। তবে বসে থাকেননি তিনি। মুরগি আর ছাগল পালন করে সংসারে দিন ফিরিয়েছেন। নাম কেটেছে হতদরিদ্রের তালিকা থেকে।

শুধু উপার্জন বাড়িয়ে শেষ নয়, নিজস্ব সমবায় দলও গড়ে তুলেছেন টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার এমন অসংখ্য নারী। নিয়মিত বৈঠকে করেন ব্যবসার পরিকল্পনা। পুরুষের ভ্রুকুটি এড়িয়ে দলবদ্ধভাবে পণ্য বেচাকেনা করেন সমবায় বাজারে।

আয়ের একটি অংশ থেকে প্রতি সপ্তাহে তারা সঞ্চয় করেন। মাস শেষে জমানো টাকা থাকে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। যে সঞ্চয় থেকে ঋণ নিয়ে কাজে লাগাতে পারেন দলের সদস্যরাই। হতদরিদ্র ২ হাজার ৮৮০টি পরিবারের দারিদ্র বিমোচনে কাজ করছে এই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা।

এই প্রকল্পের মূল্যায়ন প্রতিবেদন বলছে, আয় বৃদ্ধি মূলক কর্মকাণ্ড ও সঞ্চয়ের মাধ্যমে অতিদরিদ্র অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে ৭২ শতাংশ উপকারভোগী। তিন বেলা খেতে পারে ৯৭ শতাংশ পরিবার। ৯৬ ভাগ পরিবারে স্কুল ঝরে পড়া শিশু নেই। তবে সঞ্চয় করছে শতভাগ মানুষ। প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, স্থানীয়দের মাঝে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব মোকাবেলায় দরকার আরও বড় পদক্ষেপ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply