লেবানন নির্বাচনে বিশাল জয়ের পথে হিজবুল্লাহ

|

লেবাননের নতুন সরকার কাঠামোয় থাকছে না নজরকাড়া কোন পরিবর্তন। আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষিত না হলেও, পার্লামেন্টের দখল নিয়েছে শিয়াপন্থি হিজবুল্লাহ। ধারণা করা হচ্ছে, নীতিমালার কারণে আবারও প্রধানমন্ত্রীত্ব পাচ্ছেন সাদ আল হারিরি। যার ওপর ছড়ি ঘোরাবে তৃতীয় পক্ষ- এমনটাই শঙ্কা বিশ্লেষকদের।

লেবাননের রাজনীতি-পার্লামেন্টে বজায় থাকছে শিয়াপন্থি হিজবুল্লাহ’র শক্তসমর্থ প্রভাব। নির্বাচনের ফলাফলে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ায়, দেশটির রাস্তায় বাঁধভাঙ্গা উল্লাস। দলটির প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ’র আহ্বান, ইসরায়েলের আগ্রাসন ঠেকাতে দ্রুত দেশের সরকার গঠন করা হোক।

হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, আমরা যখন নির্বাচন-সরকার গঠন নিয়ে মাথাব্যথা করছি, ঠিক সেসময় এ অঞ্চলের ধ্বংস চাইছে ইহুদিরা। গাজা উপত্যকা, সিরিয়া বা লেবাননে তাদের পরবর্তী আগ্রাসন রুখতে আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিৎ। তাই, সরকার গঠনের জন্য ছ’মাস থেকে এক বছর সময় ব্যয় করা বিলাসিতা।

ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য সম্মীলন লেবাননের সরকারের কাঠামো। দেশটির প্রেসিডেন্ট হবেন একজন খ্রিস্টান, স্পিকার শিয়া। আর, প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই হবেন একজন সুন্নি। তাই, পার্লামেন্টের আসনও সেভাবেই বরাদ্দ। ফলে, হিজবুল্লাহ’র চেয়ে কম আসন পেলেও; সাদ আল-হারিরিই ফিরছেন প্রধানমন্ত্রীর পদে- এটা স্পষ্ট।

প্রধানমন্ত্রীর লেবানন সাদ হারিরি বলেন, ছোট দলগুলোকে নিয়ে জোট সরকার গঠনের কথা ভাবছি আমি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দেশের উন্নয়নে সব চ্যালেঞ্জ সফলতার সাথে মোকাবেলা করতে পারবো। সেক্ষেত্রে, আমাদের মূল শক্তি- সবার শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান। আন্তর্জাতিক মহলও আমাদের এই নির্বাচনের ফলাফলে সন্তুষ্ট হবে বলে আশা করছি।

বিশ্লেষকদের অভিমত, মধ্যপ্রাচ্যের বিভাজনের রাজনীতি ও ইসরায়েলের রক্তচক্ষু ভবিষ্যতেও প্রভাব ফেলবে লেবাননের রাজনীতিতে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক উইসাম লাহহাম বলেন, নতুন সরকারে সব কিছু আগের মত থাকছে, ধারণা করা যাচ্ছে, সাদ হারিরি-ই হবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, হিজবুল্লাহ সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশগুলোর সন্তুষ্টির সুযোগ নেই। তাই, লেবাননে সহসা স্থিতিশীলতা ফিরবে এমনটা বলা যাচ্ছে না।

হিজবুল্লাহর সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে ২০১৬ সালেও প্রধানমন্ত্রী হন, সাদ হারিরি। ধারণা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক কূটনীতির ভারসাম্য রক্ষায় এবারও আসবে এধরণের কোন সিদ্ধান্ত। অবশ্য, হারিরিকে মোকাবেলা করতে হবে ইসরায়েল ও সৌদি’র চাপ। কারণ, হিজবুল্লাহ’কে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মনে করে দেশদু’টি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply