মাহফুজ মিশু:
আরও বহু বছর যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর সুপার পাওয়ার বা পরাশক্তি হিসেবে থাকবে বলে ধারণা সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিমের। দেশটির সাথে থাকা বাংলাদেশের জন্য মঙ্গল বলে মনে করেন আরেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবীর। ওয়াশিংটনে দায়িত্ব পালন করা সাবেক দুই কূটনীতিকই বলছেন, জটিলতা থাকলেও সম্পর্কের সম্ভাবনাগুলো বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
সামরিক বা অর্থনৈতিক যেকোনো বিবেচনায় বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। ওবামা প্রশাসনের সময় থেকেই এশিয়ার দিকে নজর প্রভাবশালী দেশটির। সেই ধারাবাহিকতায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগ ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল বাস্তবায়ন। আর তাতে অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশকে কেন্দ্র হিসেবে গণ্য করে যুক্তরাষ্ট্র।
অবস্থানগত গুরুত্বের পাশাপাশি ১৮ কোটি মানুষ, যার মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম আর বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী, এসব বৈশিষ্ট্যও ওয়াশিংটনের কাছে গুরুত্ব বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলোদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম বলেন, সবার নজর আমাদের দিকে। আমরা এটা থেকে সুবিধা নিতে পারি।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলোদেশের আরেক সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ূন কবীর বলেন, ভৌগলিক দিক থেকে আমরা ছোট। কিন্তু জনগোষ্ঠীর দিক থেকে বড়। এটার বহু প্রভাব রয়েছে। কৌশলগত দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে মনে করছে।
পঞ্চাশ বছরের সম্পর্কে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা বড় সংকট। তবুও সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন সাবেক রাষ্ট্রদূতরা। ইউএস বাংলা বিজনেস কাউন্সিল গঠনকে বড় ধরণের অগ্রগতি উল্লেখ করে তারা বলছেন, কাজে লাগানো যেতে পারে সেখানে থাকা বাংলাদেশিদের।
তারিক এ করিম বলেন, আলোচনা করতেই হবে। এখনও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের ১ নাম্বার পরাশক্তির দেশ। চীন পরাশক্তির দেশ হিসেবে ১ নম্বর হওয়ার দৌড়ে আমেরিকার কাছাকাছি থাকলেও তাদের সরাতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র আরও অনেকদিন পরাশক্তির দেশ হিসেবে থাকবে।
আর হুমায়ূন কবীরের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেসব বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে সেসব ঠিক রেখে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও সম্পর্ক সমৃদ্ধ করতে হবে। তাদের কোনো শক্তির সঙ্গে বাংলাদেশ যদি যুক্ত হতে পারে, তাহলে দেশের লাভ।
বাংলাদেশ নিয়ে সঠিক তথ্য পেতে যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের সাথে সফর বাড়ানোরও পরামর্শ তাদের।
/এমএন
Leave a reply