দু-এক দিনের মধ্যেই চালের দাম কমবে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। সে জন্য বাড়তি আমদানি ও প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহারের সুযোগ আদায় করেছেন তারা। বাণিজ্যমন্ত্রীর দাবি, এর ফলে চালের দাম কেজিতে দু-তিন টাকা কমবে। সকালে মিল মালিকদের সাথে বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, দাম বাড়াতে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও মিল মালিকরা দুষছেন সরকারের ভুল সিদ্ধান্তকে।
চাল নিয়ে চালবাজি চলছে বন্যার পর থেকে। ফসল নষ্ট হবার ক্ষতি সামাল দিতে, শুল্ক কমিয়ে বাড়তি আমদানির উদ্যোগ নেয় সরকার। ওএমএস’র আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয় রাজধানী ও জেলা শহরে। কিন্তু তার কোনো প্রভাব নেই বাজারে। তাই, মঙ্গলবার চালকল মালিকদের সাথে জরুরি বৈঠকে বসেন তিন মন্ত্রী। কিন্তু আলোচনার শুরুতেই হট্টগোল বাধে ব্যবসায়ীদের অভিযোগে তীরে।
বৈঠকে চালের দাম বাড়ার ৪টি কারণ জানান ব্যবসায়ীরা। দাবি, পাটের ব্যাগে আমদানির বাধ্যবাধকতা থাকায় প্রতি টনে খরচ হয় বাড়তি ১২ ডলার। যমুনা সেতু পারাপারে গুনতে হয় বাড়তি টোল। তার ওপর, বন্যার পর আমদানি শুল্ক কমাতে দেরি করেছে সরকার। ট্রেন ও জাহাজেও চাল পরিবহনের অনুমতি চাইলেও তা দেয়া হয়নি। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চাপ দিয়ে নয় বরং ব্যবসায়ীদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাজার নিয়ন্ত্রণে আগ্রহী সরকার।
এদিকে, দ্বিতিয় দিনের মতো রাজধানীতে চলছে খোলাবাজারে চাল ও আটা বিক্রি। তবে খাদ্য অধিদফতরের আয়োজনে আজ থেকে শুরু হয়েছে জেলা শহরেও এই কার্যক্রম। তবে বেশিরভাগ জায়গায় আতপ চাল বিক্রি হওয়ায় ভোক্তাদের আগ্রহ অনেক কম।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকাসহ বিভাগীয় এবং জেলা শহরগুলোতে আতপ চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এই ধরণের চালের দাম-মান নিয়েও অভিযোগ আছে ক্রেতাদের। রাজধানীর ১১০টি পয়েন্টে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রতি কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। আর আটার কেজি ১৭ টাকা। আর সারাদেশে ৬২৭টি ট্রাক থেকে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ট্রাক থেকে দুইটন আটা ও একটন চাল বিক্রি হচ্ছে। এই কার্যক্রম নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।
যমুনা অনলাইন- এফআর
Leave a reply