নিহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহ্’র শেষকৃত্যেও তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলা চালানো হয়েছে কফিন বহনকারীদের ওপরও। শুক্রবার (১৩ মে) মরদেহ নিয়ে গির্জায় যাওয়ার সময় লাঠিপেটা করে ইহুদি বাহিনী।
কফিন নিয়ে যাতে মিছিল হতে না পারে সেজন্য আগেভাগেই ব্যবস্থা নিয়েছিল ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি পতাকা আর শ্লোগানের বিরুদ্ধে ছিল নিষেধাজ্ঞা। তা উপেক্ষা করায় হাসপাতাল থেকে মরদেহ বের করার সময়ই মারমুখী হয়ে ওঠে ইহুদি বাহিনী। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, এমনকি ব্যবহার করা হয় স্টান গ্রেনেডও।
ইসরায়েলের দাবি, হাসপাতাল চত্বরে পাথর ছুড়ছিল ফিলিস্তিনিরা। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। যদিও কোনো কিছুতেই ঠেকানো যায়নি জনতার ঢল। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীর এই সাংবাদিককে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সব ধর্ম নির্বিশেষে জড়ো হয় হাজারো মানুষ।
শেষকৃত্যে যোগ দেয়া একজন বলেন, এত পরিচিত একজন সাংবাদিককে ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচারের দাবিতে সবাই জড়ো হয়েছি।
আরেকজন বলেন, ব্যক্তিগত পরিচয় না থাকলেও এসেছি। কারণ সবাই তাকে শ্রদ্ধা করতাম। পেশাদারিত্ব আর বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের জন্যই তিনি পরিচিত ছিলেন। এত হাজার হাজার মানুষের সম্মান তার প্রাপ্য ছিল।
আরও পড়ুন: ন্যাটোতে যোগ দেয়ার আগেই ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো রাশিয়া
বুধবার (১১ মে) পশ্চিম তীরে দায়িত্ব পালনের সময় ইসরায়েলের গুলিতে নিহত হন ৫১ বছর বয়সী শিরিন। দুই দশকের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনিসহ মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট তুলে ধরেছেন গণমাধ্যমে। বৃহস্পতিবার, রামাল্লায় প্রেসিডেন্সিয়াল সদর দফতরে এই সংবাদকর্মীকে জানানো হয় রাষ্ট্রীয় সম্মান। ন্যায়বিচারের জন্য প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
জেডআই/
Leave a reply