দেশজুড়ে আলোচিত এক নাম প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের পর অবশেষে ধরা পড়েছেন ভারতে।
তার জন্মভূমি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দীঘিরজান গ্রামে গিয়ে জানা গেলো, প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের টাকা হাতিয়ে নেয়ার হাতেখড়ি এই গ্রাম থেকেই। স্থানীয় দীঘিরজান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছিলেন পিকে। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ২০০২ সালে স্কুল কমিটির মিটিংয়ে ব্যাপক হট্টগোল হয়। বিচারে পিকে হালদারকে জুতাপেটা করা হয় বলেও জানা গেছে।
এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচারের পর আর কখনও তাকে প্রকাশ্যে এলাকায় দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। জানা গেছে, ওই বিচারে জুতাপেটা করা হয়েছিল তাকে। পরবর্তীতে পিকে হালদারকে একজন বড় ব্যবসায়ী হিসেবে জানতেন স্থানীয়রা। তার অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তারা।
আগে প্রায়ই এলাকায় গেলেও, সেই ঘটনার পর থেকে আর কখনও পি কে হালদারকে গ্রামে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। পি কে’র বাবা পেশায় দর্জি ছিলেন, আর মা ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা। বাবার মৃত্যুর পর গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন তার মা। তবে, স্কুল ফান্ড কেলেঙ্কারির পর মাকে ঢাকায় নিজের কাছে নিয়ে আসেন পি কে হালদার।
স্থানীয়রা বলেন, বিশ বছর মতো হয়েছে এই বাড়িতে আসে না তারা। এলাকার কারো সাথে যোগাযোগ নেই ওদের। আমরা খুব ভালোভাবেই জানতাম ও বুঝতাম যে, উনি একজন মেধাবী মানুষ; কিন্তু এটাও জানতাম যে তিনি তার মেধা ভালো কাজে ব্যবহার করবেন না। খুব মজার ব্যাপার হচ্ছে, উনি তার পৈত্রিক বাড়িটিও বিক্রি করে দিয়েছেন। এলাকাবাসীর কাছে বড় ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন পিকে। তার অন্যতম সহযোগী ছিলেন স্থানীয় সুকুমার মৃধা।
পিরোজপুরের সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান নামক একটি সংগঠনের সভাপতি গৌতম চৌধুরী বলেন, টাকাগুলি আত্মসাৎ করে বিদেশে পাচার করেছে। এটা দেখভালের দায়িত্বে যারা তারা কেন নীরব? রাষ্ট্রকে অবশ্যই তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা দুদকের মামলায় বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তার বাড়ি পড়ে রয়েছে তালাবদ্ধ অবস্থায়।
/এসএইচ
Leave a reply