জয়পুরহাট প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর গ্রামে সেপটিক ট্যাংক থেকে এক নারীর ছিন্নভিন্ন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ মে) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে শিবপুর পূর্বপাড়ার প্রবাসী শাহ আলমের ছেলে উজ্জল হোসেনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের নাম বিউটি বেগম। তার বাড়ি বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ দামগড় গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামী পরিত্যক্তা হওয়া বিউটি বেগম তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন। সম্প্রতি ক্ষেতলালের শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রামের উজ্জলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিউটির। গত ২১ এপ্রিল রাতে বিউটি উজ্জলের বাড়িতে যান। রাতের কোনো এক সময় উজ্জল-বিউটির মধ্যে শারীরিক হয় বলে জানা গেছে। এরপর বিউটি উজ্জলকে বিয়ের চাপ দিলে উজ্জল রাতেই তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে কেটে টুকরো করে নিজ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখেন।
বিউটি নিখোঁজ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর বগুড়া জেলা পুলিশ নিহতের হারানো মোবাইলের সূত্র ধরে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে উজ্জলকে গ্রেফতার করে। পরে উজ্জলের দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তার নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে বিউটি বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন ইয়াজদানী জানান, প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত ২১ এপ্রিল বাড়িতে ডেকে এনে বিউটি বেগমকে ধর্ষণের পর খুন করে সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ চাপা দেন উজ্জল হোসেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে নিহতের মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বর দিয়ে ঘাতকের ফোন নম্বর বের করে তাকে গ্রেফতার করে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় ক্ষেতলাল থানা পুলিশের সহযোগিতা নেন তারা। এই ঘটনায় ক্ষেতলাল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
/এসএইচ
Leave a reply