বিনা বেতনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে কতজন, জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

|

ফাইল ছবি।

২০১০ সাল থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও দরিদ্র মেধাবী বিনা বেতনে অধ্যায়নের সুযোগ পেয়েছে, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) করা এক রিটের শুনানি শেষে সোমবার এ রুল জারি করা হয়।

এ বিষয়ে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি মজিবুর রহমান ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

শুরু থেকেই টিউশন ফি’র উচ্চহারের কারণে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ ছিল না। আর এ সুযোগ নিশ্চিত করতেই ২০১০ সালে সংশোধন করা হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন। ২০১০ সালের আইনের ৯ ধারার ৪ উপ-ধারায় বলা আছে, প্রতি বছর মোট আসনের ৬ ভাগ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। যার মধ্যে তিনভাগ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আর বাকি তিনভাগ দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের। বিনা বেতনে তাদের অধ্যয়নের সুযোগ দিতে বলা হয়েছে এই উপধারায়। একই ধারার ৬ উপ-ধারায় বলা হয়, বাৎসরিক বাজেটের ব্যয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত একটি অংশ গবেষণার জন্য রাখতে হবে।

আইনের এই দুই নির্দেশনার কোনোটিই বাস্তবায়ন হয়নি উল্লেখ করে গত সপ্তাহে হাইকোর্টে একটি রিট করে ক্যাব। রিটের শুনানি শেষে আদালত এ দুইটি নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারি করেন।

রিটের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৪ আগস্ট।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply