তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব ফিরে পেলেন দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। আর তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন লিটন কুমার দাস।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় টেস্ট দলের পরবর্তী অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসান ও সহ অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাসের নাম ঘোষণা করা হবে। তবে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে। এর আগে, মঙ্গলবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় বিসিবি সভাপতির বাসায় গিয়ে টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানান বাংলাদেশের সদ্য সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
দীর্ঘদিন ধরে রান খরায় ভুগতে থাকা মুমিনুল হক টাইগারদের টেস্ট দলের নেতৃত্বে থাকবেন কিনা সেটি নিয়ে ছিল জোর আলোচনা। ক্রিকেট পাড়ায় নতুন টাইগার দলপতি হিসেবে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছিল সাকিবের নাম। শেষ পর্যন্ত তাকেই অধিনায়কের দায়িত্ব দিলো বিসিবি। আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই তৃতীয় মেয়াদে টেস্ট অধিনায়কত্ব করতে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা এ টাইগার অলরাউন্ডার।
এর আগে, ২০১৯ এ নিষেধাজ্ঞার জেরে সাকিব বাদ পড়ায় আকস্মিকভাবেই বাংলাদেশের টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব পান মুমিনুল হক। মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয় ছাড়া তার নেতৃত্বে আর কোনো উল্লেখযোগ্য সাফল্য নেই টাইগারদের। এ সময় ব্যাট হাতেও সুবিধা করতে পারেননি মুমিনুল।
আর সম্প্রতি শেষ হওয়া শ্রীলঙ্কা সিরিজের পরই মুমিনুলের অধিনায়কত্ব নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা ঝড়। সে ঝড়ের অবসান ঘটিয়েছেন মুমিনুল নিজেই। গত মঙ্গলবার (৩১ মে) বিসিবি সভাপতির বাড়িতে গিয়ে জানিয়ে দেন যে অধিনায়কত্ব আর করতে চান না তিনি। তার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েই নতুন অধিনায়ক নিয়োগ দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ইনজুরিতে পড়ায় প্রথমবারের মতো টেস্ট অধিনায়কত্ব পান সাকিব। ওই মেয়াদে ২০১১ সাল পর্যন্ত ৯ টেস্টে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়ে জয় পান মাত্র একটিতে। এরপর, দ্বিতীয় দফায় ২০১৮ সালে মি. ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিমের স্থলাভিষিক্ত হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মজার বিষয় হচ্ছে দু’বারই উইন্ডিজ সিরিজের আগেই দায়িত্ব পান সাকিব। এবারও আরেকটি উইন্ডিজ সফরের আগেই দায়িত্ব পেলেন সাকিব। ২০১৯ সালে নিষেধাজ্ঞায় পড়ার আগ পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন আরও ৫ টেস্টে, জয় পান দুটিতে। সব মিলিয়ে আগের দুই মেয়াদে ১৪ টেস্টে ১১ হারের বিপরীতে মাত্র ৩ জয় সাকিবের।
/এসএইচ
Leave a reply