ইলিশসহ নানা জাতের মাছ সংরক্ষণে চলছে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা, তাই জাল ফেলা নিষেধ সাগরে। সরকারি সহায়তার চাল না পেয়ে সুন্দরবন উপকূলে কয়েক হাজার জেলে পরিবারে চলছে মানবেতর জীবন যাপন। জীবিকার তাগিদে নিষেধাজ্ঞা ভেঙে অনেক জেলে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ধরা পড়ে শাস্তির আওতায় আসছে। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। মৎস্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, সরকারি বরাদ্দ পেলে বাদ পড়া জেলেদের দেয়া হবে চাল।
বাগেরহাটে জেলেদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞার এ সময়ে সরকারের তরফে প্রতিটি জেলে পরিবারকে ৮৬ কেজি করে চাল দেয়ার কথা। কিন্তু রামপাল ও কচুয়ায় নিবন্ধিত অনেক জেলে পরিবারই চাল পাচ্ছে না। এছাড়া তালিকার বাইরে থাকা জেলেদের জন্য নেই ন্যুনতম কোনো সহায়তার ব্যবস্থাও।
বাধ্য হয়ে অনেকেই যাচ্ছেন সমুদ্রে মাছ ধরতে। এদের মধ্যে আবার কেউ কেউ ধরাও পড়ছে প্রশাসনের অভিযানে। জেল জরিমানায় বিপর্যস্ত মৎস্যজীবীরা বলছেন, কর্মহীন থাকায় নিষেধাজ্ঞার এ সময়টুকু পাড়ি দেয়া তাদের জন্য অসম্ভব।
বাগেরহাট জেলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল জানান, দুই উপজেলায় ১৫ শর বেশি জেলে নিবন্ধনের বাইরে। জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান বলছেন, নিবন্ধিত জেলে ৮ হাজার ২৬ জন। এখন পর্যন্ত এর মধ্যে চাল পেয়েছে প্রায় ৬ হাজার জেলে।
২০ মে থেকে শুরু হওয়া সাগরে মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত।
/এডব্লিউ
Leave a reply