খাদ্যপণ্য ও সেবামূল্য আকাশচুম্বী, বাজেটে ভর্তুকি বাড়াবে সরকার

|

ফাইল ছবি।

শুধু খাদ্যপণ্যই নয়, সেবামূল্যও এখন আকাশচুম্বী। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং কৃষি উপকরণের দাম ঊর্ধ্বমুখী। আমদানি নির্ভর এসব পণ্যের ওপর নির্ভরশীল বাংলাদেশ। বেশি দামে কিনে কম দামে সরবরাহ করাই সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। যেহেতু মানুষের ক্রয় ক্ষমতা এখন কম, তাই ভর্তুকি দিয়ে পণ্য এবং সেবা ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় সরকার। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভর্তুকি ব্যয় সরকারের কাছে রাখার বিকল্প নেই।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ওলট-পালট করে দিয়েছে সবকিছু। গত মার্চে বিশ্ব বাজারে রেকর্ড গড়ে জ্বালানি তেল, সার এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম। আমদানি নির্ভর এসব পণ্যের যোগান দিতে গিয়ে বেকায়দায় সরকার। বেশি দামে কিনে কম দামে সরবরাহ করায় বাড়ছে সরকারের ব্যয়। খুব কম সময়ে পরিস্থিতির উত্তরণের সম্ভাবনা কম। তাই আগামী বাজেটে রেকর্ড ভর্তুকি ব্যয় ধরে রাখছে অর্থ বিভাগ। চলতি অর্থবছরে চেয়ে ভর্তুকি বাড়ছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।

এ নিয়ে সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফুয়েল, গ্যাস বা সারজাতীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। এই ধরনের পণ্যের দাম বাড়লে সরকার ভর্তুকি দিয়ে থাকে। আগের মতো সরকার যে দামে বিক্রি করে সেটি ঠিক রাখতে পারলে ভর্তুকি অনেক বেড়ে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশি ভর্তুকি ধরছে সরকার। যা চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের চেয়ে দ্বিগুণ। কৃষি উৎপাদন ধরে রাখতে সারেও ভর্তুকি অব্যাহত রাখার কৌশল হাতে নেয়া হয়েছে। তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিতেও বড় অংকের ভর্তুকি ধরে রেখে বাজেট প্রণয়ন করছে অর্থবিভাগ।

রেকর্ড ভর্তুকিতে বাজেট ব্যবস্থাপনায় বাড়বে চাপ। তবে, সরকার মনে করে পরিস্থিতির উন্নতি হলে সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। তাই এই সময়ে সাধারণ মানুষদের সুরক্ষার বিকল্প নেই।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য এখন আর মসৃণ নেই। তাই আমাদের এখন সাবধানে চলতে। অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো বিলম্বিত করতে হবে এবং খরচকে মানসম্মত করতে হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বড় অংকের ভর্তুকি দেয়ার পরও তা মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে এবং সাধারণ মানুষদের দুর্ভোগ কমাতে যথেষ্ট নাও হতে পারে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply