স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর:
স্বামী মানিক মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করায় সংসার ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যান লিলি। কাজ নিয়েছিলেন হোটেলে। অন্যদিকে, মানিকের দ্বিতীয় স্ত্রীও তার বাড়িতে আসছিলেন না তাদের বিয়েতে প্রথম স্ত্রীর সম্মতি না থাকায়। আর তাতে কাজ থেকে তুলে এনে লিলিকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে খুন করে মানিক। এরপর লাশ পুকুরপাড়ে পুঁতে রাখে মানিক।
এ ঘটনার চারদিনের মাথায় থানায় জিডি করতে গিয়ে পুলিশের জালে আটকে পড়ে মানিক। গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার হয় লিলির লাশ। রংপুরের পীরগাছায় এ ঘটনা ঘটেছে। মানিক উপজেলার পারুল ইউনিয়নের বিরাহিম কুঠিয়ালপাড়া এলাকার বাসিন্দা। যার আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। লিলি হত্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী জানান, শ্বশুড়কে সঙ্গে নিয়ে শনিবার (৪ জুন) সকালে স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে পীরগাছা থানায় জিডি করতে যান মানিক। একই সময় মানিকের এলাকা থেকে থানায় খবর আসে, তার বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে লাশের গন্ধ পাওয়ার। আর পুঁতে রাখা নারীর হাত দেখতে পাওয়ার। এরপর মানিককে আটকে রেখে জেরা শুরু করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, জেরার মুখে মানিক তার স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর এদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় মানিকের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এরপর মানিকের দেয়া তথ্য মতে পুকুরপাড়ের গর্ত খুঁড়ে লিলির লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের সূত্রে জানা গেছে, লিলি ও মানিকের সংসার ১৩ বছরের। বছর খানেক আগে জমিলা নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন মানিক।
এদিকে, লিলি তার স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে তার ওপর নির্যাতন এবং সম্মতি না নিয়ে বিয়ে করার বিষয়টি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের আইন ও সালিশ শাখায় লিখিত বিচার দেয়। সংস্থাটির পক্ষ থেকে মানিককে বলা হয়, বিষয়টি নিষ্পত্তি না করলে এ ব্যাপারে মামলা করা হবে।
পরে গত বুধবার রাতে মানিক লিলির কাছে গিয়ে মিমাংসার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর এ খুনের ঘটনা ঘটে।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিলির পিতা বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
/এমএন
Leave a reply