চলতি জুন মাসে ৬০তম বর্ষপূর্তি পালন করছে মার্ভেল কমিকসের সুপারহিরো স্পাইডারম্যান ও তার ভক্তরা। কমিক হোক কিংবা সিনেমা, পিটার পারকার এখনও তার পাঠক ও দর্শকের মনে চির তরুণ। কীভাবে তৈরী হলো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ সুপারহিরো চরিত্র? জেনে নেবো এর পেছনের গল্প।
আরও অনেক মার্ভেল সুপারহিরোর মতো স্ট্যান লির হাত ধরেই স্পাইডারম্যানেরও জন্ম। কিন্তু কাজটা অতটা সহজ ছিল না। কমিকের কাজ করার সময় লির সম্পাদক তাকে বলেছিলেন ভিন্ন ধারার নতুন কিছু করতে। স্ট্যান লি কী করবেন তা ভেবে পাচ্ছিলেন না। এ অবস্থায়ই একদিন ঘরের ভেতর একটা মাকড়সা দেখে তার মাথায় স্পাইডারম্যানের আইডিয়া আসে।
কিন্তু সে মুহূর্তে তার সম্পাদক এ কমিক স্ট্রিপ প্রকাশে আগ্রহ দেখাননি। কিন্তু কয়েক মাস পর হঠাৎই অজ্ঞাত কোনো কারণে তিনি স্পাইডারম্যান প্রকাশে আগ্রহ দেখান এবং প্রকাশ করতে না করতেই তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
স্পাইডি নামে পরিচিত স্পাইডারম্যানের অভিষেক হয় ১৯৬২ সালের জুনে। কমিকে জনপ্রিয়তা বাড়তে না বাড়তেই কার্টুন এবং লাইভ অ্যাকশন টেলিভিশন প্রোগ্রাম তৈরি শুরু হয় স্পাইডারম্যানকে নিয়ে। সিনেমা ফ্র্যাঞ্চাইজি তৈরি হওয়ার আগে নিজস্ব প্রাইম টাইম সিরিজও মুক্তি লাভ করে। যেখানে অভিনয় করেছিলেন নিকোলাস হ্যামন্ড।
কমিক স্ট্রিপ শুরু হওয়ার পর স্পাইডারম্যানের শতশত এপিসোড মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে স্পাইডিকে নিয়ে নানা রকম নিরীক্ষা করেছেন স্বয়ং এর স্রষ্টা স্ট্যান লি। অসংখ্যবার স্পাইডারম্যানের কস্টিউমে এসেছে পরিবর্তন, যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন খলনায়ক। কিন্তু স্পাইডারম্যানের মূল সুরে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। পিটারকে কখনও তার সাদামাটা মানসিকতা থেকে বের করেননি স্ট্যান লি।
সিনেমার ক্ষেত্রে, বিশেষত মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সে ১০-১২ বছরে যেসব পরিবর্তন এসেছে তার ধারায় স্পাইডারম্যানেও কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। অ্যাভেঞ্জার্সের সাথে যোগ দেয়া, স্টার্কের কোম্পানির সাহায্য পাওয়া এবং মাল্টিভার্সে স্পাইডার-ম্যানের প্রবেশ নতুন ধারার গল্প ও সিনেমার ক্ষেত্রে আলাদা সংযোজন। তবে এর আগেই নানাভাবে স্পাইডারম্যানের বাহ্যিক পরিবর্তন হয়েছে। যেমন- ২০০০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দ্য আল্টিমেট স্পাইডারম্যান।
২০০২ সালে স্যাম রাইমি পরিচালিত ‘স্পাইডারম্যান’ সিনেমাটি স্পাইডারম্যানের জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। টবি ম্যাগুইয়েরকেই যেনো তখন থেকে সবাই স্পাইডারম্যান ভেবে নিয়েছে। এরপর একে একে স্পাইডির স্যুটে ঢুকেছেন অ্যান্ড্রু গারফিল্ড ও টম হল্যান্ড। কিন্তু যে-ই থাকুন না কেনো, পিটারের সাদামাটা ভাব ও তারুণ্য ধরে রাখা হয়েছে। তাই ২০২২ সালে এসেও স্পাইডারম্যান এখনও সেই প্রথম দিনের মতোই তরুণ।
/এসএইচ
Leave a reply