বাবরের রেকর্ড শতক, উইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তানের রোমাঞ্চকর জয়

|

ছবি: সংগৃহীত

মুলতানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে পাকিস্তান। স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় শুরু হওয়া ম্যাচে শাই হোপের শতকে উইন্ডিজ তোলে ৮ উইকেটে ৩০৫ রান। জবাবে বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তান জিতলো ৫ উইকেটে, ৪ বল হাতে রেখে।

এই নিয়ে টানা তিনটি ওয়ান ডে ম্যাচে শতরানের পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে বাবর দ্রুততম হাজার রানের নতুন রেকর্ড গড়লেন। ২০১৬ সালে এই উইন্ডিজের বিপক্ষেই তিনি করেছিলেন সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক।

বড় রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি, সপ্তম ওভারে দলীয় ২৬ রানে জেইডেন সিলসের বলে কাভারে ধরা পড়েন ২০ বলে ১১ রান করা ফখর জামান। ইমাম-উল-হক অবশ্য টেনে আনেন, করেন ৭১ বলে ৬৫ রান।

ইমামের পর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গেও শতরানের জুটি গড়েন বাবর। ইমামের সঙ্গে তার জুটিতে ১০৩ রান ওঠে ১১১ বলে, রিজওয়ানের সঙ্গে ১০০ বলে ১০৮ রান। ৫৯ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করা বাবর তিন অঙ্কে যান ১০৩ বলে, হেইডেন ওয়ালশকে লেট কাটে চার মেরে। ক্যারিয়ারে এটি ১৭তম শতক পাকিস্তান অধিনায়কের।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ দুই ওয়ানডেতে শতক পেয়েছিলেন। এরপর খেলা প্রথম ম্যাচেও বাবর শতক পেলেন। এর আগে ২০১৬ সালে উইন্ডিজের বিপক্ষে টানা তিনটি শতক পেয়েছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে টানা তিন শতকের এমন ‘ডাবল’ কীর্তি নেই আর কারও। এ ইনিংসের পথে অধিনায়ক হিসেবে ১৩ ইনিংসেই ১ হাজার রান হয়ে গেল তার, যেটি দ্রুততম। এর আগে বিরাট কোহলির লেগেছিল ১৭ ইনিংস।

তবে বাবর শতকের পর বেশিক্ষণ টেকেননি, ১০৭ বলে ১০৩ রান করে আলজারি জোসেফকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন। পাকিস্তানের তখনো প্রয়োজন ছিল ৪৫ বলে ৬৫ রান। অবশ্য মোহাম্মদ রিজওয়ান ছিলেন, ৫৫ বলে অর্ধশতকও পান। তবে অসময়ে ফেরেন তিনিও। সে সময় ৩২ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৫০ রান।

রিজওয়ানের উইকেটের পর রান-বলের ব্যবধান বাড়ে আরও, তবে রঙ বদলানোর শুরুটা হয় ৪৭তম ওভারে। রোমারিও শেফার্ডকে টানা তিন ছক্কা মারেন খুশদিল, রান ও বলের ব্যবধান নেমে আসে ছয়ে। এরপর শাদাব খান ফিরলেও সমস্যা হয়নি তাদের। শেফার্ডের করা ইনিংসের ৪৯তম ওভারে খুশদিল মারেন একটি করে চার ও ছয়। শেষ ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রান, সিলসের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে কাজ শেষ করেন মোহাম্মদ নওয়াজ।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply