একদিকে ঘাটতি বাজেট, অন্যদিকে বিশাল রাজস্ব আয়ের চাপ; লক্ষ্যমাত্রা অর্জনই এখন বড় চ্যালেঞ্জ

|

আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতির প্রভাব কাটিয়ে দেশে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখার চাপ সামাল দেয়ার তেমন উদ্যোগ নেই বাজেটে। কিন্তু শুধুমাত্র নিজস্ব দক্ষতা বা সক্ষমতা দিয়ে নয়, বরং বাজেট বাস্তবায়নে বৈশ্বিক পরিস্থিতির উপরও নির্ভর করতে হবে। এমন এক অবস্থায় বিশাল ঘাটতির বাজেট দিয়েছে সরকার। দেয়া হয়েছে রাজস্ব আদায়ের উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা। বিশ্লেষকরা মনে করেন, শুধু বরাদ্দ বাড়িয়ে নয়, বাস্তবায়ন সক্ষমতা অর্জন করা দরকার। নিশ্চিত করতে হবে স্বচ্ছতা।

দরিদ্র এবং মধ্যবিত্তদের কাছে এখন আতঙ্কের নাম মূল্যস্ফীতি। আয়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে টিকতে পারছেন না অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ ধরে রাখা বেশ কঠিন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের বিষয়টি যেহেতু আমাদের হাতে নেই। তাই আমদানি শুল্কসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কিছু কাঠছাট করার মাধ্যমে জনগণের পরোক্ষ করের বোঝা কমাতে পারে সরকার।

আগামী অর্থবছরের বড় দুশ্চিন্তার নাম বাজেট ঘাটতি। প্রায় ২ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ঋণের দ্বরাস্থ হতে হবে। বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেবে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ব্যহত হতে পারে।

এনবিআরের সাবেক সদস্য সৈয়দ আমিনুল করিমের মতে, বর্তমানের বৈশ্বিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে এই ধরনের ঋণ নেয়া বেশ কঠিন। তবে এখন সরকারের পক্ষে এই ঋণ নেয়াই সবচেয়ে বেশি শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে আছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের চাপ। বর্তমান পরিস্থিতিতে করজাল প্রসারিত করা ছাড়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে না বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, রেকর্ড ভর্তুকিতে বাজেট ব্যবস্থাপনায় চাপ বাড়বে। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হলে সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে মনে করছে সরকার।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply