ইউক্রেনে লড়াইরত মার্সেনারি বা ভাড়াটে যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে রুশ বাহিনী। মস্কো বলছে, এসব বিদেশি সেনাদের অন্তত ২৩টি অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হয় অভিযান। যাতে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে এসব যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র, কমান্ড সেন্টার এবং ঘাঁটি। এদিকে আটক ২ ব্রিটিশ মার্সেনারির মৃত্যদণ্ডের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লন্ডন।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই প্রতিরোধ গড়তে দেশটির নিয়মিত বাহিনীর পাশাপাশি যোগ দেয় বিদেশি সেনারা। এর মধ্যে সামরিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি আর সামরিক বাহিনীর সাবেক সদস্য যেমন রয়েছে, তেমনি আছেন বেসামরিক নাগরিকও। সম্প্রতি এসব বিদেশি এবং ভাড়াটে যোদ্ধাদের ওপর অভিযান জোরদার করেছে রুশ বাহিনী।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেঙ্কোভ বলেন, দোনেস্কের ২৩টি এলাকায় অভিযান চালিয়েছেন তারা। এসব স্থানে মার্সেনারিদের অবস্থান, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ধ্বংস করা হয়েছে ভাড়াটে যোদ্ধাদের কমান্ড সেন্টার এবং ২টি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও। অভিযানে ওই অঞ্চলে মার্সেনারিদের অবস্থান দুর্বল করে দেয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাশিয়া মনে করে, যুক্তরাষ্ট্রের মদদেই আইএস এবং আফগান সন্ত্রাসীরা ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিয়েছে। বর্তমানে অভিযান চলমান থাকায় এসব ভাড়াটে যোদ্ধাদের সংখ্যা কমে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বলেও একজন রুশ সামরিক কর্মকর্তা জানান।
এরমধ্যে বৃহস্পতিবার আটক তিন ভাড়াটে যোদ্ধাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় দোনবাসের একটি আদালত। এদের মধ্যে ২ জন ব্রিটেনের নাগরিক। এ ঘটনাকে জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন বলছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ২ নাগরিককে মৃত্যদণ্ড দেয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ব্রিটেন। ব্রিটিশ এমপি রবার্ট জেনরিক বলেন, বিচারের নামে প্রহসন হয়েছে। যে দুই ব্রিটিশকে শাস্তি দেয়া হয়েছে তারা ভাড়াটে সেনা নয় বরং স্বেচ্ছাসেবক। পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছায় লড়তে গেছেন তারা।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ইউক্রেনের পক্ষে প্রায় ২০ হাজার বিদেশি স্বেচ্ছাসেবক এবং ভাড়াটে যোদ্ধা হিসেবে লড়ছে।
Leave a reply