প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকার ঘাটতি পূরণে সরকারকে নির্ভর করতে হচ্ছে অ্ভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণের ওপর। এ জন্য মোটা অঙ্কের সুদও পরিশোধ করতে হয়। বাজেট প্রস্তাবনায় শুধু সুদ পরিশোধের জন্য ৮০ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ঋণের সুদ পরিশোধে বেশি অর্থ লাগায় সরকারের অনেকে গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমছে।
প্রতি বছরই বাজেটের আকার বড় হচ্ছে। বাড়ছে সরকারের ব্যয়। কিন্তু ব্যয় অনুযায়ী আয় হচ্ছে না। ফলে বাড়ছে ঘাটতি বাজেট। আর এ ঘাটতি মেটাতে নিতে হচ্ছে ঋণ। এতে প্রতি বছরই ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। সেইসাথে বাড়ছে ঋণ পরিশোধের ব্যয়। আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের ৮০ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে সুদ পরিশোধে। এই পরিস্থিতি ঋণ গ্রহণে সতর্ক থাকার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
সিপিডির সিনিয়র রিসার্স ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খানের মতে, প্রকল্প ও ঋণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমরা ধীরে ধীরে সতর্কতার প্রয়োজন অনুভব করছি। সুতরাং প্রকল্প নির্বাচন ও ঋণ নির্বাচনে আমাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।
অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ পরিশোধ করা হবে ৭৩ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্র, ব্যাংকের মেয়াদি ঋণ, সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ তহবিল, চলতি ঋণ, জীবনবিমা ও অন্যান্য ঋণের সুদ পরিশোধ এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হবে।
বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ করা হবে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা। বিপুল পরিমাণ ঋণ ও সুদ পরিশোধের ব্যয় যেন অর্থনীতিতে বাড়তি চাপ তৈরি করতে না পারে, সেজন্য পরিকল্পিত আর্থিক ব্যবস্থাপনার পরামর্শ দিয়েছেন এনবিআরের সাবেক সদস্য সৈয়দ আমিনুল করিম। সুদ ব্যয় অনুন্নয়ন বাজেটের একক খাত হিসাবে সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ২ শতাংশ।
এসজেড/
Leave a reply