পাচার করা অর্থ ফেরত আনার সুযোগ দেয়ায় সংসদে সমালোচনা

|

ফাইল ছবি।

কর দিয়ে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনার সুযোগ দেয়ার সমালোচনা করেছেন সরকারি ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।

রোববার (১২ জুন) সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ ব্যাপারে কঠোর সমালোচনা করেন তারা। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, যারা লুটপাট করে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে বিদেশে পাচার করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হোক। না হলে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনের কোনও প্রয়োজন ছিল না।

তিনি আরও বলেন, বিদেশে অর্থপাচারও বেড়েছে। অর্থমন্ত্রী এই করোনাকালীন সময়ে মানুষের জীবন রক্ষার যে বাজেট উপস্থাপন করেছিলেন, সেখানে একদিকে মানুষকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। অপরদিকে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে, সেটা রোধ করতে পারেননি।

দলটির আরেক সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ব্যাংক ডাকাতি করে টাকা বিদেশে নিয়ে গেলে কী হবে? ডাকাতির মামলা হবে না? দুর্নীতি করলে মামলা হবে না? যদি কারও বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকে, এ সময় তিনি যদি টাকা ফিরিয়ে আনেন, তাহলে কি মামলা চলবে না?

ভারতেও এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু সফলতা আসেনি।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রাণগোপাল দত্ত বলেন, অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করা যায় কিনা দেখা দরকার। সমাজে এটার ইতিবাচক প্রভাব নেই। যারা বিদেশে টাকা পাচার করেছেন, তারা যদি সৎ হতেন, তাহলে টাকা দেশেই রাখতেন। চোর ধর্মের কথা শোনে না, এটা মাথায় রাখা উচিত।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply