তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ অব্যাহত

|

ফাইল ছবি

স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:

তিস্তার পানি রোববার (১২ জুন) বেলা ৩টা পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম না করলেও অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে এখনও ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়নি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাত এবং উজানের ঢলের কারণে তিস্তায় বুধবার (৮ জুন) রাত ৯ টা থেকে পানি বৃদ্ধি শুরু হয়েছে রংপুরে। এর মধ্যে, শনিবার (১২ মে) বেলা ১২টায় বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচে দিয়ে প্রবাহিত হলেও পরবর্তীতে তা আস্তে আস্তে নামতে থাকে। জানা গেছে, রোববার (১২ মে) থেকে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, পানি আবারও বাড়তে হতে পারে। এ পূর্বাভাস আমরা গত এক সপ্তাহ ধরেই সংশ্লিষ্টদের জানাচ্ছি যাতে নদী অববাহিকার লোকজন নিরাপদ জায়গায় অবস্থান নিতে পারেন। গবাদিপশুসহ অন্যান্য জিনিস সরিয়ে নিতে পারেন।

এদিকে, রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, রোববার দুপুর তিনটা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ১৫ ঘন্টায় ১৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ নিয়ে গত ৮ জুন থেকে মোট ১৮৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এই আবহাওয়াবিদ আরও জানান, বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা এবং নদীপাড়ের মানুষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি শুরু হওয়ায় তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকছে।

গঙ্গাচড়ার লক্ষীটারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই ইউনিয়নের ৩০০ বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। ১০ হাজার হেক্টর জমির বাদাম পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, জৈষ্ঠ্য মাসে সাধারণৎ এ ধরনের বন্যা হয় না, কিন্তু এবার সেটি হয়েছে। কেবল বন্যা শুরু হলো, এই পানি আগামী জুলাই মাস অব্যাহত থাকবে তার ৫টি ওয়ার্ডে। তবে তিনি জানিয়েছে এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ তৎপরতা তিনি শুরু করতে পারেননি, সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো ত্রাণ দেয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত তিনিও বরাদ্দ চাননি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড মহিপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আপদকালীন বালুভর্তি জিও ব্যাগ রেখে দিয়েছেন। সম্ভাব্য ভাঙ্গন ঠেকাতে এসব জিও ব্যাগ আগাম মজুদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাউবো।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply