কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ২ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে পানিবন্দি দিন কাটাচ্ছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। তবে শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
প্লাবিত এলাকার মধ্যে রয়েছে রৌমারী সদর, যাদুরচর, শৌলমারী, দাঁতভাঙ্গা, বন্দবেড় ও রাজিবপুর সদর ইউনিয়ন। টানা দেড় সপ্তাহের বৃষ্টি আর ভারতের আসাম রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দেখা দিয়েছে এই আকস্মিক বন্যা। ডুবে গেছে ৫৯২ হেক্টর ফসলি জমি। এলাকায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সঙ্কট। সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ বন্যাকবলিতদের।
রংপুরে তিস্তার পানি বিপদসীমা এখনও অতিক্রম না করলেও চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে এখনও পানি প্রবেশ অব্যাহত আছে। ত্রাণ সহায়তা না পাওয়া অভিযোগ সেখানেও।
এদিকে গত রাত থেকে শেরপুরের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ি উপজেলার মহারশি ও ভোগাই নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে এখনও ২৫টি গ্রামের ৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি। ভেসে গেছে প্রায় ৫ শতাধিক পুকুর ও ঘেরের মাছ। লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
/এডব্লিউ
Leave a reply