ক্রেতা নেই, মেহেরপুরের পশু খামারিদের মাথায় হাত

|

মেহেরপুর গরু খামারি।

মেহেরপুর প্রতিনিধি:

কোরবানি ঈদে গরু বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে অনেক খামারিই গরু প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু শেষ সময়ে এখনো ক্রেতা না পাওয়ায় হতাশ তারা। এদিকে বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা গরু ব্যাপারীদের দেখা মিলছে না। ফলে জেলার গরু খামারি ও ব্যবসায়ীরা লোকশানের মুখে পড়ছেন।

মেহেরপুরের সদর উপজেলার শালিকা গ্রামে আড়াই বছর ধরে সুলতানকে নিজের সন্তানের মতো লালনপালন করে আসছেন খামারি নুরুজ্জামান। যত্ন নিয়েছেন নিজের সন্তানের মতো। খাবারের মধ্যে ছিল প্রাকৃতিক খাদ্য আর ফলমূল। এবার কোরবানির হাটে তোলা হবে সুলতানকে। ২০ মণ ওজনের এই সুলতানের দাম হাঁকানো হয়েছে ১০ লাখ টাকা। কিন্তু এখনো ক্রেতা না পাওয়ায় হতাশ গরুর মালিক। তার মতো অন্যান্য খামারিদেরও একই অবস্থা।

জেলার তিন উপজেলায় এবার ৫৮ হাজার ৯৪৫টি গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের বিভিন্ন হাটে সরবরাহ করা হবে। গত বছর অনলাইনের মাধ্যমে গরু কেনাবেচা জমে উঠলেও এ বছর অনলাইনে গরু কেনাবেচা কমেছে।

গত বছর ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা জেলা শহরগুলোতে গরু কিনতে আসলেও এবার বন্যার
কারণে তাদের দেখা মেলেনি। এতে হতাশায় দিন পার করছেন খামারিরা। গরু খামারিদের অভিযোগ, গত বছরের তুলনায় এ বছর গো খাদ্যের দাম বেড়েছে। ফলে গরু লালনপালন করতে খরচ হয়েছে বেশি। কিন্তু সেই তুলনায় দাম পাওয়া যাচ্ছে না।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply