ব্যবসায়ীদের স্বার্থে জ্বালানি পরিকল্পনাকেই বিদ্যুৎ সংকটের কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা

|

নিজস্ব গ্যাসের উৎপাদন বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে পরনির্ভরশীল জ্বালানি পরিকল্পনাই সংকটের মূল কারণ এমন মন্তব্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের। নিজস্ব গ্যাসের অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানো হলে এমন সংকট এড়ানো যেতো বলে মত তাদের। এ থেকে কখন মুক্তি মিলবে জানা নেই খোদ বিদ্যুৎ বিভাগেরই। আপাতত শহর-গ্রামে প্রয়োজন অনুযায়ী সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনায় নজর দিতে চায় সরকার।

দিনে আট থেকে দশ ঘণ্টাই বিদ্যুৎহীন দিনাজপুর সদর এলাকা। বহুদিন পর আবারও লোডশেডিংয়ে নাস্তানাবুদ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ। সেই তুলনায় রাজধানীতে আলো আধারির খেলা কম। তবে সেখানেও হানা দিতে শুরু করেছে লোডশেডিং।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলছেন বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে প্রধান দুই জ্বালানি, তেল ও গ্যাসের দর আকাশচুম্বী। তারওপর অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে ব্যয় কমানোর পথে হাঠছে অর্থবিভাগ। তাই আপাতত বাড়তি দরে তেল, গ্যাস না কিনে বিদ্যুতেও ‘কম খাওয়া’ নীতিতে চলতে চায় সরকার।

দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি বৈচিত্র্য থাকলেও, গ্যাস ও তেলের ব্যবহারই বেশি। আমদানি করা এলএনজির ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। ২০-২১ অর্থবছরে চাহিদার ১৯ শতাংশ গ্যাস আমদানি করা হয়। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলছেন, দেশি-বিদেশি জরিপ মতে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুত রয়েছে বাংলাদেশে। অথচ তার আবিষ্কার ও উৎপাদনে নজর নেই জ্বালানি বিভাগের।

বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় আপাতত উৎপাদিত বিদ্যুতের ব্যবস্থাপনায় নজর দিতে চায় বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে কেবল ভোগান্তি বাড়বে।

দেশে বিদ্যুতের স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। কিন্তু জ্বালানি সংকটে সামাল দেয়া যাচ্ছে না সাড়ে ১৪ হাজারের চাহিদা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply