কোরবানির দিন পশু কোরবানির স্থান পরিষ্কারের পাশাপাশি বাড়িঘরের ভেতর পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। জীবাণুর বিস্তার রোধে তাগিদ দিয়েছেন অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড ব্যবহারের। সেই সাথে জোর দিয়েছেন পারিবারিক সুরক্ষার বিষয়েও।
কোরবানির পর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি। পশু জবাইয়ের স্থানসহ বাড়িঘরের যেসব জায়গায় মাংস রাখা হয়, সেখানেও জরুরি হয়ে পড়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা।
শিশু, বৃদ্ধসহ পরিবারের সবার সুরক্ষার জন্য কোরবানির সময় ঘরের পরিচ্ছন্নতার ওপর বিশেষভাবে নজর দেয়া জরুরি বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
মেডিসিন ও কোভিড বিশেষজ্ঞ ড. শাকুর খান বলেন, পরিচ্ছন্নতার কোনো বিকল্প বিজ্ঞানও দেয় না। সকল ক্ষেত্রেই পরিচ্ছন্নতা অপরিহার্য। কোরবানির পশুর বর্জ্যসহ বিভিন্ন মানবসৃষ্ট বর্জ্য পরিবেশের ভারসাম্যকে নষ্ট করছে। আমাদের পরিবেশ সংরক্ষণে আরও সচেতন হওয়া উচিত।
ঘরের সুরক্ষার জন্য ঘরে মাংস কাটার জায়গা ধুয়ে বিছাতে হবে প্লাস্টিকের শিট। এরপর মাংস কাটা হয়ে গেলে গরম পানি, ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্যবহার করতে হবে অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড। ঘর থেকে রক্ত ও মাংসের দুর্গন্ধ দূর করতে লেবুর রস, বেকিং সোডা ব্যবহার করা যেতে পারে।
যারা ঘর সামলান তারা বলছেন, কাঁচা মাংস থেকে যেনো রোগ জীবাণু না ছড়ায় সেটিই খেয়াল রাখতে হবে বেশি।
এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফেরদৌসি আক্তার কল্পনা বলেন, কোরবানির মাংস ঘরে আনার আগেই অ্যান্টি সেপটিক দিয়ে ঘর জীবাণুমুক্ত করতে হবে যাতে কোনো রোগ-জীবাণু না ছড়ায়। তারপর মাংস আসার পর প্রসেস করা ও বিলি-বণ্টনের পর আবারও ঘর-বাড়ি জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
এছাড়া ঘর ও পোষাক থেকে রক্তের দাগ দূর করার দিকে নজর দিতে হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
/এসএইচ
Leave a reply