রাজধানীজুড়ে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। এরইমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৯৫ শতাংশ এলাকা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৮৫ শতাংশ এলাকা থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করার দাবি করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাকি বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন।
এর আগে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র ১২ ঘণ্টার মধ্যে ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ জন্য ঈদ উপলক্ষে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে প্রায় ১৯ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছেন।
রোববার সকাল ১০টা থেকেই ডিএনসিসির কর্মীরা বর্জ্য পরিষ্কারের কাজ শুরু করেন। বেলা ২টার দিকে সাঈদনগরের পশুর হাট পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমও বেলা ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়ে দিনভর চলে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজ করতে দেখা যায়। রিকশাভ্যান, ময়লা টানার ছোট গাড়িতে করে বাসাবাড়ি থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য এনে সিটি করপোরেশনের ময়লা রাখার প্রাথমিক ঘর (এসটিএস) ও কনটেইনারে রাখছেন তারা। এরপর ময়লাবাহী গাড়ি সেই কনটেইনার নিয়ে ময়লার ভাগাড়ের পথে ছুটছে। অনেক এলাকায় কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার হয়ে গেছে। তবে কোথাও কোথাও এখনো পশুর বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সিটি করপোরেশন থেকে জানা যায়, চলতি বছর ঢাকা দক্ষিণে পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত থাকবেন ৯ হাজার ৫০ জন কর্মী। এ কাজে ব্যবহার করা হবে ৩৫৩টি গাড়ি। অন্যদিকে ঢাকা উত্তরে দায়িত্ব পালন করবেন ৯ হাজার ৯৯০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। এ কাজে ব্যবহার করা হবে ৫৮৫টি গাড়ি।
ইউএইচ/
Leave a reply